বাংলা হান্ট ডেস্ক : বর্তমানে সরকারি বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে পেনশন প্রক্রিয়া তুলে দেওয়া হয়েছে, যদিও বেসরকারি ক্ষেত্রে বেশ সামান্য কয়েকটি জায়গায় পেনশন প্রক্রিয়া চালু রয়েছে কিন্তু অবসর গ্রহণের পর কী হবে এই চিন্তায় প্রহর গুনছেন এখন থেকেই। যেহেতু চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর মোটা টাকা হাতে আসবে না তাই নিয়ে কিন্তু চিন্তিত থাকেন অনেকেই। শুধুমাত্র চাকরিজীবী রাই নন, যারা খেত মজুরের কাজ করেন কিংবা, রিকশা চালান তাদের কিন্তু একটা বয়সের পর রোজগারের সন্ধান কমে যায় তাই এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দু দুটি প্রকল্পের সূচনা করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর শ্রমযোগী মান ধন যোজনা এবং ন্যাশনাল পেনশন স্কিম ফর ট্রেডার্স অ্যান্ড সেলফ এমপ্লয়েড পেনসনস।
যেখানে মাত্র এক শ টাকা করে আর দুজন হলো মাত্র দুশো টাকা করে জমা দিলেই বাহাত্তর হাজার টাকা অবধি পেনশনের সুবিধা রয়েছে। মাত্র দুই থেকে তিন মিনিটের মধ্যে একটি অ্যাকাউন্ট খুললেই ব্যাস। এই দুটি অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য ন্যূনতম বয়স হতে হবে 18-40 বছরের মধ্যে। সে ক্ষেত্রে ত্রিশ বছর বয়সের থেকে এই যোজনায় টাকা রাখতে পারেন।
মাসে মাসে 55-200 টাকা অবধি জমা রাখলে সুবিধা পাবেন। তাদের প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনার অ্যাকাউন্ট রয়েছে তাঁদের এই বিশেষ সুবিধা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। যদি ত্রিশ বছর বয়সী কোনো ব্যক্তি মাসে এক শ টাকা করে জমা দেয় সে ক্ষেত্রে বছরেই তাঁর বারোশ টাকা জমবে এবং ষাট বছর পর তাঁর 3600 টাকা হবে। সে ক্ষেত্রে যদি কোনো ব্যক্তির মৃত্যু হয় তাঁর স্ত্রী অর্ধেক পেনশন পাবেন
কিন্তু কোনও দম্পতি যদি এই স্কিমে এনরোলমেন্ট করান সেক্ষেত্রে তাঁরা ষাট বছর পর মাসে ছয় হাজার টাকা করে পেনশন পাবেন অর্থাত্ বছরে বাহাত্তর হাজার টাকা। এ ক্ষেত্রে যদি দেখা যায় দুই জনের মধ্যে এক জনের মৃত্যু হয়েছে সে ক্ষেত্রে স্বামী বা স্ত্রী উভয়েই 4500 টাকা করে পেনশন পাবেন।
আর এই প্রকল্পের আওতায় আসবেন? 1. যাঁদের মাসে সাংসারিক আয় পনেরো হাজার টাকার কম তারাই একমাত্র এই প্রকল্পের আওতায় আসার সুযোগ পাবেন। 2. যাঁদের ইপিএফও কাটে না কিংবা আয়কর দিতে হয় না তারা। 3. আবেদনকারীর অবশ্যই আধার নম্বর এবং সেভিংস অ্যাকাউন্ট থাকা বাধ্যতামূলক। 4. বিশেষ করে যারা কর্মরত শ্রমিক তাঁরা এই স্কিমের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পাবেন।