দেশের নানা প্রান্ত থেকেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। সম্প্রতি পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং সোমবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে মুখ খোলেন। তাঁর মতে এই আইন দেশের জন্য বিপজ্জনক হবে। তিনি কোনোমতেই তাঁর সরকার রাজ্যে থাকাকালীন অবস্থায় এটি প্রয়োগ করতে দেবেন না। তাঁর দল একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করে। মিছিল চলাকালীন কংগ্রেস নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রেখে তিনি মানুষকে আইনটির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এবং বলেছেন যে তাঁর দল এর বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে ।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিজেপির নীতি গুলির বাস্তব কোনো ভিত্তি নেই। সাম্প্রদায়িক হিংসা বাড়িয়ে ভোট দখল ই একমাত্র লক্ষ্য। তাঁর মতে এটি ভারতের সংবিধানের পরিপন্থী। ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর এইরকম মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘ ও সিএএকে “বৈষম্যমূলক” বলে অভিহিত করেছে।
সিং এদিন বলেন, যখন পুরো বিশ্ব এই আইনটির বিধান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে তখন কেন্দ্রীয় সরকার এভাবে জনগণের কণ্ঠরোধ করতে পারেনা। তিনি শিখ গুরু র বাণী উল্লেখ করে জানিয়েছেন, নানক “না কো হিন্দু, না কো মুসলমান, সব রব দে বন্দে” (কেউই মুসলমান বা হিন্দু নয়, সকলেই ঈশ্বরের লোক) বলে ধর্ম নিরপেক্ষতার বানী প্রচার করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পাঞ্জাবের এই প্রতিবাদ মিছিলটি পুরো ভারত জুড়ে সিএএ বিরোধী বার্তা পাঠাতে সহায়তা করবে।
পরে সংবাদমাধ্যমের সাথে এক আনুষ্ঠানিক আলাপচারিতায়, অমরিন্দর পুনরায় উল্লেখ করে বলেন “ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ নীতিকে ধ্বংস করার যে প্রয়াস কেন্দ্র নিয়েছে তাঁর সাথে বিরোধিতা অব্যাহত রাখবে তাঁর সরকার। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি মাত্র 39 শতাংশ ভোট পেয়েছিল বলে উল্লেখ করে তিনি এ ও বলেন যে বাকি ৬১ শতাংশ বিরোধী দলকে সমর্থন করে তাই মোদী সরকার এই “কালো আইন” কার্যকর করতে পারছেন না।