বাংলাহান্ট ডেস্কঃ গত কয়েকদিন ধরেই কাশ্মীর উপত্যকা জুড়ে নেমে এসেছে ভয়ঙ্কর শীত। ডাল লেকে বরফ জমে যাওয়া থেকে শুরু করে বরফে গাছ ঢেকে যাওয়া সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল অনেক ছবি বলে দিচ্ছিল কাশ্মীরের পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ। গত ১৩ ডিসেম্বর টহল দেওয়ার সময়ে গারওয়াল রাইফেলসের এক জওয়ান রাজেন্দ্র নেগি গুলমার্গের কাছে একটি জায়গায় পা পিছলে পড়ে যান। তারপর তার আর কোণও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
গত কয়েকদিন ধরেই কাশ্মীরের বিভিন্ন অংশে হয়েছে তুষারপাত। উত্তর কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গার তুষার ধসের কবলে সেনা জওয়ানরা। গতদিন উত্তর কাশ্মীরের মাচিলে রাত একটা নাগাদ এক তুষার ধসের কবলে পড়ে ৭ জনের একটি সেনা দল। প্রাণ হারালেন ৪ সেনা। নিখোঁজ ২ । বহু সেনাকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে।
এছাড়াও সোমবার সন্ধে সাড়ে আটটা নাগাদ নওগাম সেক্টরে আছড়ে পড়ে একটি তুষার ধসে সাত জওয়ান সেখানে আটকে পড়েন। এদের মধ্যে ৬ জনকে উদ্ধার করা হয়। একজনকে বাঁচানো যায়নি। গুলমার্গে তুষার ধসে চাপা পড়ে যান ৯ জন। ৪ জনকে বাঁচানো গেলেও মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। একইদিনে বারামুলায় তুষারে চাপা পড়ে যায় ২ শিশু। তাদের যুদ্ধকালিণ তৎপরতায় উদ্ধার করা হয়।
Indian Army: In a snow slide in Machhil sector, teams have been engaged in rescue of 5 soldiers, out of which 4 have been pulled out of snow. Search for another soldier is still underway. 2 soldiers are non responsive, for whom medical care is hampered due to inclement weather.
— ANI (@ANI) January 14, 2020
দেশের আরো বেশ কয়েকটি অঞ্চল থেকে তুষার ধসের খবর আসলেও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। কাশ্মীরে একের পর এক জাওয়ানের তুষার ধসে মৃত্যু দেশের পক্ষে গভীর বেদনার। দেশের সীমান্ত রক্ষীরা প্রতিবছরই দেশের বিভিন্ন অংশে শত্রুর সাথে সাথে মোকাবিলা করতে হয় আবহাওয়ারও। রাজস্থানে যেখানে ৫০ ডিগ্রি গরমে তারা কর্তব্যে অটল, সিয়াচেনের জমে যাওয়া বরফেও তারা একই রকম কর্ত্যব্যপরায়ন।