বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কথায় বলে রাখে কেষ্ট মারে কে, মারে কেষ্ট রাখে কে! এই প্রবাদেরই বাস্তব দৃষ্টান্ত। এক দু ঘণ্টা নয়, কনকনে ঠাণ্ডায় তুষারধসের নীচে ১৮ ঘণ্টা আটকে ছিল সে, তবু ভগবান তাঁকে রক্ষা করেছেন। জীবন্ত অবস্থায় ১২ বছরের একজন বালিকা শামিনা বিবিকে উদ্ধারের পর তারই মুখ থেকে শোনা গেল ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা।
পাক অধিকৃত কাশ্মীরেরর ঘটনা। বাড়ির উপর হঠাতই আছড়ে পড়ে বিশালাকার তুষারধস। ভয়ে, আতঙ্কে দিশাহারা অবস্থায় তুষারধসের তলায় আটকে যান শামিনা। সাহায্যের জন্য আর্তনাদ করেও কোনও ফল হয়নি। উল্লেখ্য পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নীলম উপত্যকায় সোমবার তুষারধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখনও পর্যন্ত হয়েছে ৭৪। এখনও সেখানে উদ্ধারকার্য চলছে।
শমিনাকে ফিরে পেয়ে তাঁর মা খুবই আবেগান্বিত হয়ে পড়েছেন, বলেন, ‘ মেয়েকে ফিরে পাব, ভাবতেই পারিনি।’ শামিনার পা ভেঙে গিয়েছে, মুখ দিয়ে রক্তপাত হচ্ছে। হাসপাতালের বেডে শুয়ে শামিনা বললেন, ‘ভেবেছিলাম মরেই গিয়েছি।’
জানা গিয়েছে, তিনতলার বাড়ি ছিল তাঁদের। তুষারধসে চাপা পড়ে যায় গোটা বাড়ি, সকলে কোনওরকমে বেরিয়ে আসলেও শামিনা আটকে যায় তুষারধসের তলায়। ইতিমধ্যে তুষারধসে মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। মৃত্যুমিছিল পড়ে গিয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে।