বাংলা (West Bengal) ও কাশ্মীর (Kashmir) নিয়ে কেন্দ্রের মোদী সরকার একটা বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে তার আভাস অনেক আগেই থেকেই মিলেছে। কারণ কাশ্মীর ও বাংলা এমন দুটি স্থান যা ভারতের অর্থনীতিকে দ্রুতগতিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রাখে। তার জন্য অবশ্য সঠিক পরিকল্পনা ও নীতির প্রয়োজন রয়েছে। এক সময় অখন্ড ভারতের হৃদয়স্থান হিসেবে পরিচিত ছিল বঙ্গদেশ তথা বঙ্গভূমি।
অন্যদিকে কাশ্মীর পৃথিবীর ভুসর্গ হিসেবে পরিচিত ছিল। সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কালচারের দিক থেকে পুরো ভারতকে নেতৃত্ব দিত এই বঙ্গভূমি। পুরো ইউরোপের সম্পত্তিকে ৪ গুন করলে বঙ্গের এক প্রান্তের সম্পত্তির সমানে আসতো না। এই কারণেই ইংরেজরা বঙ্গভুমিকে পরিকল্পনা মাফিক খণ্ড খন্ড করে দিয়েছে। এখন ভারতে পড়ে রয়েছে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ, অবশ্য এই ভুমিকে কাজ লাগাতে পারলে দেশ অনেক উচ্চতায় পৌঁছাতে পারবে।
যদিও বাংলাকে নিয়ে সরকারের কি পরিকল্পনা বা সরকার কিভাবে কাজ শুরু করবে তা নিয়ে কোনো রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক ভাষণে বলেছিলেন যে পূর্ব ভারতের ইঞ্জিন হিসেবে উনি পশ্চিমবঙ্গকে তৈরি করার স্বপ্ন দেখেন। অন্যদিকে কাশ্মীর থেকে ধারা ৩৭০ অপসারণের পর কেন্দ্র সরকার তার কাজ শুরু করে দিয়েছে। এমনকি POK পুনরুদ্ধারের জন্যেও জম্মু-কাশ্মীরের ব্যাপক উন্নয়ন প্রয়োজন রয়েছে।
কেন্দ্রের বেশকিছু মন্ত্রী এর উপরে আগেই বিবৃতি প্রকাশ করেছিলেন।ভারতের মধ্যে থাকা কাশ্মীরকে উন্নয়নের শিঘরে পৌঁছে দিলে POK এর জনভাবনা ভারতের পক্ষে নিয়ে আসা খুবই সহজ হবে।
মোদী সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য ৮০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। বুধবার কাশ্মীরে উন্নয়ন সম্পর্কিত কাজের জন্য প্যাকেজটি সরকার অনুমোদন দিয়েছে। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক এই তথ্য দিয়েছে।
কাশ্মীরকে তারা আসল রূপ ফিরিয়ে দিতে কেন্দ্র সরকার বেশকিছু প্রয়াস চালাচ্ছে তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। প্রধানমন্ত্রী মোদীর নির্দেশ মেনে বেশকিছু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কাশ্মীরের সফরে রওনা দিয়েছিলেন। ৩৭০ অপসারণের পর সেখানে সামগ্রীক পরিস্থিতির উপর রিপোর্ট তৈরি করতে ও বেশকিছু প্রকল্পের উপর সমীক্ষা করতে এই টিম পৌঁছেছিল।