করোনা ভাইরাস নিয়ে হিন্দুত্বের রাজনীতি করছে নরেন্দ্র মোদী:সুব্রত মুখোপাধ্যায়

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ জাতির উদ্দেশে বৃহস্পতিবার রাত ৮ টায় বক্তব্য রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এই বিশেষ ভাষণের উদ্দেশ্য ছিল করোনা ভাইরাস (corona virus) নিয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করা। আর মোদীর সেই ভাষণ নিয়ে এবার তোপ দাগতে ছাড়ল না তৃণমূল কংগ্রেস। দলের তরফে সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee) মুখ খোলেন । রবিবার সকাল সাতটা থেকে রাত ন’টা পর্যন্ত ‘জনতা কার্ফু’ পালনের জন্য আবেদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত যাঁরা ওই কার্ফুতে অংশ নেবেন না তাঁদের উদ্দেশে ধন্যবাদ জানানোর জন্য বিশেষ কর্মসূচির আবেদন করেছেন মোদী। সেই কর্মসূচির প্রতিক্রিয়ায় মোদীর বিরুদ্ধে মহামারী নিয়ে হিন্দুত্বের রাজনীতির অভিযোগ তুললেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা তথা রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।

এদিন মোদী বলেন, “চিকিৎসক, স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত অসংখ্য ব্যক্তি, সাফাইকর্মী, সংবাদমাধ্যমের কর্মী—এইরকম জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত বহু মানুষ ওই জনতা কার্ফুতে অংশ নিতে পারবেন না। তাঁদের ধন্যবাদ জানাতে বিকেল পাঁচটা থেকে পাঁচটা পাঁচ মিনিট পর্যন্ত বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়ে ঘণ্টা বাজান, থালা বাজান, হাততালি দিন।”

narendra modi jpg 710x400xt

যদিও সুব্রতবাবুকে পাল্টা আক্রমণ শানাতে ছাড়েনি বিজেপি। মেদিনীপুরের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ““সুব্রতদার কথা শুনে বোঝা যাচ্ছে ওঁর বয়স হচ্ছে। এই তো ক’দিন আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাঁসর ঘণ্টা নিয়ে ক্যা ক্যা করলেন। ওটা কি হিন্দুত্বের ঘণ্টা ছিল? দিদিমণি ব্রিগেডে সিপিএমের মৃত্যুঘণ্টা বাজিয়েছিলেন। ওটা কি হিন্দুত্বের ঘণ্টা ছিল? আসলে ওঁরা এখন সবকিছুতেই বিজেপি-আরএসএস দেখতে পান।”

সুব্রতবাবু বলেন, “এই ঘণ্টা বাজানোর কথা বলে মোদী আসলে হিন্দুত্ববাদের কথাই বলতে চেয়েছেন। মহামারী নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণেও তাঁর আরএসএস, বিজেপির রাজনীতি বেরিয়ে পড়েছে। ভেবেছিলাম দেশের প্রধানমন্ত্রী দিশা দেবেন। কিন্তু দেশের মানুষ সেই দিশা পেল না।”

এদিকে, তৃণমূল কংগ্রেস জানায়, যেখানে গোটা দেশ করোনার মতো মহামারী থেকে পরিত্রাণের রাস্তা খুঁজছে সেখানে প্রধানমন্ত্রী নিজের প্রচার করছেন। ডেরেকের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর এমন পদক্ষেপ মানা যায় না।

সম্পর্কিত খবর