‘লকডাউন না চললে আজই রতন কাহারের বাড়ি যেতাম’, ‘গেন্দা ফুল’ বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন বাদশা

বাংলাহান্ট ডেস্ক: এখন ইউটিউবে একটি ভিডিওই ট্রেন্ডিং, ‘গেন্দা ফুল’। বাদশা ও পায়েল দেবের গাওয়া এই গানের ভিডিও এখন মুখে মুখে ঘুরছে মানুষের। কিন্তু আসলে এই গান যার সৃষ্টি তিনি বীরভূমের মানুষ, নাম রতন কাহার। তাঁর লেখা ও সুর দেওয়া এই গানই দীর্ঘদিষ ধরে শুনে আসছে বাঙালি। অথচ স্রষ্টারই নাম নেই ভিডিওতে। বালাই নেই কৃতজ্ঞতা স্বীকারেরও। বহু বিতর্কের পর এখন শুধু ক্রেডিটে বেঙ্গলি ফোক সংয়ের উল্লেখ।
মুক্তির পর থেকেই গেন্দা ফুল গানটি নিয়ে দুভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছেন নেটজনতা। একাংশের মতে গানটি রীতিমতো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অপর অংশের বক্তব‍্য বাঙালির মানসিকতায় আঘাত হেনেছেন বাদশা। এতকিছুর পরেও চুপ করেই ছিলেন এই বিতর্কের ‘মধ‍্যমণি’ বাদশা। অবশেষে মুখ খুললেন তিনি। জানালেন লকডাউন না চললে এখনই রতন কাহারের বাড়ি যেতেন তিনি।

get set for genda phool with badshah and jacqueline fernandez
বাদশার কথায়, ‘আমি ওই গানের রচয়িতার নাম খোঁজার চেষ্টা করেছি কিন্তু পাইনি। ২৬ মার্চ আমি জেনেছি রতন কাহারের নাম। আমি জানি উনি একজন মহান শিল্পী। ওনার অর্থনৈতিক অবস্থার কথাও আমি জানি। আমি ওনাকে সম্মান দিয়ে সাহায‍্য করতৈ চাই।’ তিনি আরও জানান, বড়লোকের বিটি লো গানটি নিয়ে তাঁর কোনও খারাপ অভিসন্ধি ছিল না। অনেকেই তাঁকে ‘চোর’ আখ‍্যা দিচ্ছেন। কিন্তু তিনি অন‍্য শিল্পীদের সম্মান করতে জানেন। বাদশা জানান, এই পরিস্থিতিতেও রতন কাহারকে যেকোনও রকম সাহায‍্য করতে তিনি প্রস্তুত।
প্রসঙ্গত, ৭২ সালে প্রথম এই গানটি সৃষ্টি করেন রতন কাহার। মলয় পাহাড়ি গানটি আকাশবানীতে নিয়ে যান। বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল তখনই। তারপরেই স্বপ্না চক্রবর্তী রতনের থেকে গানটি নিয়ে নিজের বলে চালিয়ে দেন। রেকর্ডিং কোম্পানিতে গিয়েও স্বীকৃতি পাননি রতন কাহার। ছোটবেলা থেকেই গানের সঙ্গে যুক্ত তিনি। একসময় আলকাপ, লোটোও করেছেন। এই সূত্রেই সৃষ্টি হয় এই কালজয়ী গান।

Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর