বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আমেরিকার (America) নিউ ইয়র্ক (New York) সিটির টাইমস স্কোয়ার, যা কোন দিন কোন অবস্থাতেই জনমানব শূন্য, জাকজমক শূণ্য হয়নি। কিন্তু বর্তমানে করোনা (COVID-19) পরিস্থিতির জন্য সমগ্র নিউ ইয়র্ক এখন গৃহবন্দি। নিউ ইয়র্কের রাস্তায় এখন যে মানুষের অভাব দেখা দিয়েছে। শপিং মল, বাজার থেকে শুরু করে ভূগর্ভস্থ মেট্রো স্টেশনও এখন জনশূণ্য। করোনা ভাইরাসের প্রভাবে একজন আর এক জনের সঙ্গে দেখা পর্যন্ত করতে চাইছে না।
গত ২ সপ্তাহেই করোনা ভাইরাস নিউ ইয়র্ক সেন্টারকে আমেরিকার এপি সেন্টারে পরিণত করেছে। নিউ ইয়র্ক সিটিতে প্রচুর পরিমাণে মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আচমকাই নিঃশব্দে আসা এই করোনা ভাইরাস সমগ্র বিশ্বের সাথে সাথে নিউ ইয়র্কেও প্রবল আকার ধারণ করেছে। নিউ ইয়র্ক সহ সমগ্র আমেরিকা এখন স্তব্ধ। ২০০১ সালের ১১ ই সেপ্টেম্বররে থেকেও খারাপ অবস্থা এখন নিউ ইয়র্কে।
আমেরিকায় এখন আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লাখের দিকে এগোচ্ছে। এবং মৃত্যুর সংখ্যা অল্প দিনের মধ্যেই চীন এবং ইতালিকে ছাড়িয়ে যাবে। করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ধাপ নিউ ইয়র্ক এবং সমগ্র আমেরিকার জন্য ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে চলেছে। বর্তমানে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে আমেরিকা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। বৈজ্ঞানিক সদস্যরা করোনা ভ্যাকসিন প্রস্তুত এবং টেস্ট করতে ব্যস্ত রয়েছেন। এবং জনগণের স্বার্থে সমগ্র আমেরিকায় জারী করা হয়েছে লকডাউন অবস্থা।
মেস্কিকো থেকে সীমান্ত রেখা পেরিয়ে আগে অনেক অনুপ্রবেশকারী আমেরিকায় প্রবেশ করত। আমেরিকার সরকার তাতে বাঁধা দিয়েছিল। কিন্তু এখন সেই বাঁধা অতিক্রম করে আমেরিকা থেকে লোকজন মেস্কিকোয় চলে যাচ্ছে করোনা ভাইরাসের ভয়ে। আবার মেস্কিকো সরকার এখন আমেরিকা থেকে আগত মানুষকে মেস্কিকোতে আস্তে বাঁধা দিচ্ছে।
৩৩ কোটির দেশ আমেরিকায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। ইতিমধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু ১২ কোটি জনসংখ্যার দেশ মেস্কিকোতে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা প্রায় ১ হাজারেরও অনেক কম। তাই প্রাণ বাঁচানোর ভয়ে আমেরিকার অধিবাসীরা এখন মেস্কিকোয় পালিয়ে যাচ্ছে। তবে আমেরিকা এখনও করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত নয়। তাঁদের এখনও অনেকটাই সময় লাগবে এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সামাল দিতে। এই পরিস্থিতিতে শত্রু দেশ চীনের থেকেই সাহায্য চাইছে ট্রাম্প। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আমেরিকার নোবেল জয়ী মাইকেল লেভিট বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন করোনা আক্রান্ত দেশ এখন বর্তমানে সুস্থতার দিকে এগোচ্ছে। চীন এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কম। কিন্তু অন্য দেশে এখনও এই রোগ তাঁর বিস্তার ঘটিয়ে চলেছে। তবে খুব শীঘ্রই এই আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কমে যাবে’।