বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বিশ্ব জুড়ে করোনা ভাইরাস (corona virus) ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথেই ধাক্কা খেয়েছে বিশ্ব অর্থনীতি(economy) । লকডাউনের ( lockdown) কারনে বিশ্বজুড়ে একটা বিশাল অংশের উৎপাদন ব্যাবস্থা বন্ধ। এই মুহূর্তে যা পরিস্থিতি তাতে লকডাউন উঠলেও আগের অর্থনীতিতে ফিরে যাওয়া খুব একটা সহজ হবে না বলেই মনে করছেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় (Avijit binayak Bandopadhyay) ও এস্থার ডুফলো (esther duflo)। জনগণের প্রাণ বাঁচানোর জন্য ভারত সরকার সব বিশ্বের সমস্ত আক্রান্ত দেশের সরকার যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছে সেগুলির জন্য ভবিষ্যতে কর্মহীন হতেও হতেও পারে বিশ্বের একটা বড় অংশের মানুষ।
সোশ্যাল ডিস্টেন্স মেনে চলা ও লকডাউন ছাড়া ভাইরাস প্রতিরোধের অন্য কোন উপায় এই মুহূর্তে নেই নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদও বলছেন সে কথা। কিন্তু কতদিনের লকডাউন অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেবে না অর্থাত কতদিনের লকডাউন হওয়া উচিত? সেই প্রশ্নের উত্তরে অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, করোনা মোকাবিলার মডেল বলছে পাঁচ মাস লকডাউন প্রয়োজন। কিন্তু পাঁচ মাস তো দূরের কথা দু সপ্তাহ লকডাউন হলেও মানুষ অর্থনীতি বিপর্যস্ত হতে পারে। টানা 5 মাস লকডাউন চললে ধ্বস নামবে বিশ্ব অর্থনীতিতে।
ইতিমধ্যে শেয়ারবাজারে নেমেছে ধস। আয় কমেছে মধ্যবিত্তের। এই মুহূর্তে লকডাউন উঠলেই মধ্যবিত্ত উৎসাহের সাথে জিনিসপত্র কিনবে এমনটা আশা করা যায় না। অর্থনৈতিক সংকটের কারনে সঞ্চিত অর্থ খরচ করতে সাহস করবে না সাধারন মানুষ। ফলে অর্থনীতি চাঙ্গা হতে সময় লাগবে। ঠিক কত দিনে অর্থনীতি আগের পরিস্থিতিতে পৌঁছাতে পারবে বলা মুশকিল।
অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর মন্দা নাকি 2009 সালের অর্থনৈতিক সংকট ঠিক কোন দিকে যাচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতি এক্ষুনি বোঝা যাচ্ছে না। তবে ভারত অনেকটাই সাবধানী। অভিজিতের পরামর্শ মূল্যস্ফীতির ভয় না করেই অনেক টাকা ছাপানো হোক।