মমতা ব্যানার্জী (mamata banerjee) করোনা পরিস্থিতিতে যাতে খাবার ব্যবস্থার কোনো সমস্যা না হয় সেই নিয়ে শুরু থেকেই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। লক ডাউন পরিস্থিতিতে যারা দিনে আনে দিনে খায় তাদের অবস্থা কার্যত খারাপ। কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে খাবার আনতে তাদের রীতিমতো কালঘাম ছুটছে। আর এই অবস্থায় রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যে খাবার অর্থাৎ চাল, ডাল দেওয়ার কথা ছিলো তাই নিয়ে অনেক দিনে ধরেই রেশন ডিলাররা কালো বাজারি করছিলো।
আর তাদেরকে এর আগেই সাবধান করা সত্ত্বেও কোনো লাভ হয়নি। আর এই নিয়ে অবশেষে কড়া পদক্ষেপ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। প্রায় ২৭১ জন রেশন ডিলারকে শোকজ করা হয়েছে এবং প্রায় ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ।
এদিন খাদ্যমন্ত্রী জোত্যিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন “সাধারণ মানুষের যাতে দুর্ভোগ না হয় তার জন্য লকডাউনের সময়ে বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই সুযোগে কোনও রেশন ডিলার দুর্নীতি করলে কাউকে ছেড়ে দেওয়া হবে না। দোষ প্রমাণ হলে লাইসেন্সও বাতিল হতে পারে।” এদিকে খাদ্য দফতরের একজন অফিসার জানান দেয় যে রাজ্যে
৯ লাখ মেট্রিক টন চাল দরকার তিন মাসের জন্য। কিন্তু তার পরিবর্তে মাত্র ৩ লাখ মেট্রিক টন চাল পেয়েছে রাজ্য। এদিকে ডাল প্রয়োজন প্রতি মাসে সাড়ে ১৪ হাজার মেট্রিক টন। তার জায়গায় চাল মিলেছে মাত্র চার হাজার মেট্রিক টন । এইভাবে কি করে সবাইকে খাদ্য বন্টন করা সম্ভব জানা নেই কারো। এদিকে
বিজেপি বারবার দুর্নীতি ও মজুতের অভিযোগ করে। রেশন দোকানের পরিবর্তে তৃণমূলের স্থানীয় কার্যালয় থেকে চাল, গম বিলি হচ্ছে বলে খবর মেলে। আর এর মধ্যেই যে সব জায়গায় চাল গমের সরবরাহ করতেন রেশনের দোকানদাররা সেখানে এখন খাদ্য দফতরের অফিসাররা সরাসরি খাবার দেবেন বলে জানা গেছে।