মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর ঘোষণা : রাজ্যে খুলবে চপ, গয়না, মোবাইলের দোকান

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃতীয় দফার লকডাউনের (lockdown) মধ্যেই কিছু ছাড়ের ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাত আটটায় জাতির উদ্দেশে বক্তৃতা দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। সেই বক্তব্য থেকেই জানা যাবে দেশজুড়ে লকডাউনের ভবিষ্যৎ কী।

Coronavirus slider

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন,  এখনও অনেকদিন করোনাকে নিয়ে চলতে হবে আমাদের। আরও দু-তিন মাস সময় লাগতে পারে। সেজন্য একটু একটু করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে হবে। তবে এখনই কনটেনমেন্ট জোনে কোন বিধিনিষেধ শিথিল হবে না। এর বাইরে সব জোনেই স্ট্যান্ড-অ্যালোন বা একক ভাবে থাকা সব রকমের দোকান খোলা যাবে। তবে জেলার পুলিশ ও প্রশাসন ঠিক করে দেবে কোথায় কোন দোকান খোলা যাবে বা যাবে না সেটা।

corona 2004110303 20200412014705

আলাদা ভাবে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, তেলেভাজার দোকান বুধবার থেকেই খোলা যেতে পারে। তবে দুপুর ১২টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত খোলা যাবে। এছাড়াও রেস্তরাঁ বাদে অন্যান্য খাবারের দোকান খুলতে পারা যাবে। তবে কোথাও বসে খাওয়ার ব্যবস্থা রাখা যাবে না। ক্রেতাদের কিনে নিয়ে চলে যেতে হবে। হোম ডেলিভারিও চলতে পারে। এছাড়াও ‌ইলেকট্রিক, ইলেকট্রনিক্স ও মোবাইল সামগ্রীর দোকান খোলা যাবে। গয়নার দোকানও বুধবার থেকে খোলা যাবে।

mamata banerjee 4pti jpg image 975 568

 

এদিন রাজ্য প্রশাসনের কর্তাদের নিয়ে নবান্নে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরেই সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, এতদিনের লকডাউনের জেরে কার্যত অর্থনীতি ভেঙে পড়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পরিকল্পনা করে লকডাউন ঘোষণা করলে এত বিপর্যয় হত না। এখন দ্রুত গ্রামীণ অর্থনীতি চালু করার উপরে জোর দিতে হবে। তিনি বলেন, “জেলাশাসকদের বলা হচ্ছে, ১০০ দিনের কাজে জোর দিতে। আরও বেশি লোককে কাজে নিয়োগ করতে হবে। ভিন রাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদেরও একশো দিনের কাজ দেওয়ার জন্য জেলাশাসকদের বলা হয়েছে।’’

মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও জানিয়েছেন, তাঁতের কাজ বুধবার থেকে করা যাবে। খোলা হবে বিশ্ব বাংলা হাট ও খাদি বাজার। গ্রামীণ এলাকায় নির্মাণ কাজও শুরু করা যাবে। এক্ষেত্রে একশো দিনের কাজের আওতায় শ্রমিক নিয়োগ করা যাবে।

সম্পর্কিত খবর