সোস্যাল ডিস্টেন্সিং থেকে আইসোলেশন, হাজার বছর আগেই সংক্রমণ ঠেকানোর উপায় বিশ্বকে শিখিয়েছেন এই বাঙালি

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাস (corona virus) সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে আমাদের সব থেকে বেশী যে দুটো কথার সাথে পরিচিত হতে হয়েছে তা হল সোস্যাল ডিস্টেন্স (social distance) আর আইসোলেশন ( isolation) । কিন্তু জানেন কি? ভাইরাসের মোকাবিলা কিভাবে করতে হয় বিশ্বকে তা শিখিয়েছিলেন এক বাঙালি

সারা বিশ্বকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের অনেক কিছুই শিখিয়েছে ভারত। চরক সুশ্রুত থেকে শুরু করে উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী, বিশ্বে চিকিৎসা বিজ্ঞানে ভারতের অবদান কম নয়। শোনা যায়, রোনাল্ড রস যে ম্যালেরিয়ার ওষুধ আবিষ্কার করে নোবেল পেয়েছেন, তারো প্রধান সহযোগী ছিলেন এক ভারতীয়। ওষুধ আবিষ্কারে তার অবদান রস সাহেবের সমান সমান, কিন্তু নেটিভ হওয়ায় রস সাহেবের সমান কৃতিত্বের ভাগ তিনি পাননি। এমন অনেক না জানা কৃতি বাঙালির মধ্যে একজন চক্রপাণি দত্ত।

images 2020 05 30T182126.166

চক্রপাণি দত্ত একজন প্রসিদ্ধ বাঙালী চিকিৎসক এবং গ্রন্থপ্রণেতা। একাদশ শতকের শেষভাগে বরেন্দ্র অঞ্চলের অন্তর্গত ময়ূরেশ্বর গ্রামে (বর্তমান বীরভূমের অন্তর্গত) লোধ্রবলী কুলীন বংশে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন পাল রাজার উচ্চপদস্থ কর্মী। তিনি চরক ও সুশ্রুতের লেখা সংহিতা দুটির যথাযথ টীকা রচনা করে। সে গ্রন্থদুটির নাম যথাক্রমে – ‘চরকতত্ত্বপ্রদীপিকা’ এবং ‘ভানুমতী। সেখানেই তিনি সোস্যাল ডিস্টেন্স ও আইসোলেশন সম্পর্কে বিশদে আলোচনা করেন।

তিনি অভিষঙ্গজ হেতু অর্থাৎ ছোঁয়াচে রোগ সম্পর্কে ‘সুশ্রুত সংহিতা’-র ৬ নং অধ্যায়ের ৩২ ও ৩৩ নম্বর শ্লোক, ‘‘প্রসঙ্গাদ গাত্রসংস্পর্শাৎ নিশ্বাসাৎ সহভোজনাৎ।/ সহশয্যাসনশ্চাপি বস্ত্রমাল্যানুলেপনাৎ।।’’ ব্যাখা করে বলেন, স্পর্শ, একই থালায় খাওয়া, একই পোষাক পড়া ও এক সাথে থাকার মধ্যেও রোগের সংক্রমণ হতে পারে। তাই রোগীকে পৃথক রাখা উচিত। যার বর্তমান শব্দগুচ্ছ ‘আইসোলেশন’ ও সোস্যাল ডিস্টেন্স

সম্পর্কিত খবর