বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর কাণ্ডের এক বছরের মধ্যে কসবায় গণধর্ষণ। ফের একবার প্রশ্নের মুখে চলে এসেছে রাজ্যের নারী নিরাপত্তা। এই আবহে হেনস্থার শিকার খোদ তৃণমূল (Trinamool Congress) নেত্রী! অভিযোগের তীর দলেরই কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযোগকারিণীর প্রশ্ন, ‘দিনেদুপুরে আমার সঙ্গেই যদি এমন ঘটনা ঘটে, তাহলে সাধারণ মহিলাদের নিরাপত্তা কোথায়?’
রাস্তার মধ্যেই হেনস্থার শিকার তৃণমূল (Trinamool Congress) নেত্রী!
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, রবিবার সিউড়ি ২ নং ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রীর সঙ্গে ঘটনাটি ঘটেছে। কিছু সরকারি নথিতে সই করতে এক নেতার সঙ্গে দেখা করার জন্য গিয়েছিলেন অভিযোগকারিণী। তখন সেখানে তৃণমূলেরই (TMC) বেশ কয়েকজন সদস্য ছিলেন। তবে তাঁরা ওই নেতার বিরোধী গোষ্ঠীর লোক হিসেবে পরিচিত।
অভিযোগ, ওই সদস্যরা সিউড়ি ২ নং ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রীর চরিত্র নিয়ে বেশ কিছু কুরুচিকর মন্তব্য করেন। এই নিয়ে প্রতিবাদ করলে পরিস্থিতি তেতে ওঠে। তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগ, রাস্তার মধ্যে তাঁর ওড়না ধরে টানাটানি করা হয়। তাঁকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয়। ওড়না খুলে গলায় ফাঁস দেওয়ার চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ।
এই পরিস্থিতিতে ওই নেত্রীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন একজন তৃণমূল কর্মী। তবে অভিযুক্তরা তাঁকে মারধর করেন বলে খবর। এই মুহূর্তে সিউড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে (Suri Super Specialty Hospital) চিকিৎসা চলছে ওই কর্মীর। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত দলীয় কর্মীরা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এই বিষয়ে বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘পঞ্চায়েত ভোটের সময় ওই সভানেত্রীকে আমরা মনোনয়ন দিতে চেয়েছিলাম। সেই সময়ই নুরুল ইসলাম বাহিনী তাঁর উপর চড়াও হয়’। তৃণমূল এভাবেই ধ্বংসের দিকে এগোচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার তৃণমূলের (Trinamool Congress) গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছে। এবার দিনেদুপুরে দলের এক নেত্রীকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠল দলীয় কর্মীদের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত কর্মীরা অবশ্য সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।