বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আবারো সামাজিক মাধ্যমে বোমা ফাটালেন শ্রীলেখা মিত্র (sreelekha mitra)। টলিপাড়ায় নেপোটিজম নিয়ে প্রসেনজিৎ – ঋতুপর্ণাকে আক্রমণ করার পর এবার তার তোপের মুখে পড়লেন দুই অভিনেত্রী সাংসদ নুসরত জাহান (nusrat jahan) ও মিমি চক্রবর্তী (mimi Chakroborthy)
রাজ্যে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার প্রথম লগ্ন থেকেই টলিউড ইন্ডাস্ট্রির একাধিক নায়ক নায়িকা তৃণমূলের হয়ে ভোটে লড়ে জিতেছেন৷ দেব, তাপস পাল, চিরঞ্জির থেকে শুরু করে এই তালিকায় নবতম সংযোজন ছিল মিমি ও নুসরত। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সময় থেকেই একের পর এক আক্রমণের নিশানা হয়েছেন এই দুই অভিনেত্রী। কিন্তু তাতে দমে না গিয়ে টিকটক ছাড়েননি কেউ। এমনকি করোনা আবহে তাদের টিকটক করা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে।
এবার টিকটক বন্ধ হতেই আরো একবার উঠে এল তারকা সাংসদদের টিকটক বিতর্ক। অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র এদিন সামাজিক মাধ্যমে দুই তারকা সাংসদকে আক্রমণ করে পোস্ট করা একটি ছবি শেয়ার করেন। সেখানে লেখা ছিল, টিকটক বন্ধ! যাদবপুর বা বসিরহাটের মানুষ তাহলে সাংসদদের কোথায় দেখতে পাবেন? এই পোস্টটি শেয়ার ক্যাপশনে শ্রীলেখা মিত্র লিখেছেন, ” আহারে শুনে আমার চোখে জল এল”
কয়েকদিন আগেই টলিউডে নেপোটিজম নিয়ে মুখ খুলেছিলেন শ্রীলেখা। প্রসেনজিৎ, ঋতুপর্ণা ও অন্যান্য দের বিরুদ্ধে স্বজনপোষনের অভিযোগ এনে বলেন, “এখানে ক্ষমতা কথা বলে। শুধুমাত্র যে মেয়েরাই হেনস্থার শিকার হন তা নয়, ছেলেরাও এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হন। মিটু, কাস্টিং কাউচ সবই ক্ষমতার অপব্যবহার। ক্ষমতাশীল নায়ক, পরিচালক, প্রযোজকরা ইচ্ছামতো ক্ষমতা ব্যবহার করেন। যাদের বাবা মা কেউ ইন্ডাস্ট্রিতে ছিলেন না তাদের পক্ষে এখানে টিকে থাকা খুবই মুশকিল। আগে এখনকার মতো সিরিয়াল থেকে সুযোগ পাওয়া যেত না।”
শ্রীলেখা আরও বলেন, “ইন্ডাস্ট্রিতে গডফাদার খুব গুরুত্বপূর্ণ। যারা কোনও কিছুর বিনিময়ে কাজ পাইয়ে দেন। আমার সেই কোনও গডফাদার ছিল না। সেসময় প্রসেনজিৎ, চিরঞ্জিত, তাপস দা রাই ইন্ডাস্ট্রি চালাত। কিন্তু বুম্বাদা ছিলেন নাম্বার ওয়ান। সেসময় আমার যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও নায়িকার চরিত্র দেওয়া হত না। কারন তখন ঋতুপর্ণার সঙ্গে প্রসেনজিতের প্রেম চলছে। ঋতুপর্ণা দেরি করে এসেও নায়িকার রোল পেয়ে যেতেন। সেজন্য টেলিভিশনে কাজ শুরু করি। আমার তো কোনও পরিচালক প্রযোজকের সঙ্গে প্রেম হয়নি। কে দেবে আমায় কাজ? তাছাড়া আমি ট্যারা কথা বলি, সুন্দরী হওয়ার সুযোগও নিই না।”