বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অয্যোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের জন্য সবাই খুশি খুশি নিজের সাধ্যমত দান করছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সংসদীয় এলাকা কাশী থেকেও মানুষ রাম মন্দির নির্মাণের জন্য দান করছে। এক মুসলিম যুবতী তথা আইনের ছাত্রী অয্যোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের জন্য ১১ হাজার টাকা দান করেছে।
ওই যুবতী নিজের হাতে ‘শ্রী রাম” লেখা একটি ট্যাটুও করেছে। ইকরা আনোয়ার খান ১১ হাজার টাকার চেক অখিল ভারতীয় সন্ত সমিতির হাতে তুলে দিয়েছে। ইকরা খান জানায়, শ্রী রাম তাঁদের পূর্ব পুরুষ। আর সেই কারণে অয্যোধ্যায় রাম মন্দির বানানোর জন্য সে সামান্য কিছু সহায়তা রাশি দিয়েছে। ইকরা বলে, রাজনৈতিক নেতারা ধর্ম ভাগ করার নামে রাজনীতি করে।
ইকরা বলে, ধর্ম আলাদা-আলাদা হয় না, এটা বলেই আমি তাঁদের মুখে কষিয়ে চড় মারতে চাই। ইকরা বলে, ধর্ম একটাই আর সেটা হল মানবতার ধর্ম। আমি মানুষ হিসেবে রাম মন্দির নির্মাণের অংশ হচ্ছি, আর আমি এটা স্বইচ্ছে এবং খুশির সাথেই করছি। ইকরা জানায়, হিন্দু-মুসলিম দুই ধর্মের প্রতিই আমার বিশ্বাস আছে। ইকরা বলে, আমি মন্দিরেও যাই আর বাড়িতে নামাজও পড়ি।
অখিল ভারতীয় সন্ত সমিতির মহামন্ত্রী স্বামী জিতেন্দ্রানন্দ বলেন, ইকরা আনোয়ার খান প্রথম মুসলিম মহিলা হিসেবে রাম মন্দির নির্মাণের জন্য ১১ হাজার টাকা দান করেছে। তিনি বলেন, সমাজে ধর্ম আর জাতপাত শুধুমাত্র রাজনীতির জন্যি, যারা আস্থার প্রতি বিশ্বাস রাখে, তাঁদের জন্য না।
অয্যোধ্যায় রাম মন্দিরের জন্য ৫ আগস্ট হওয়া ভূমি পুজোর সময় ইকরা নিজের হাতে শ্রী রামের নাম লিখিয়েছিল। চন্দোলি জেলার পিডিডিইউ নগরের হনুমাপুরের বাসিন্দা ইকরা আনোয়ার বলে, শ্রী রামের থেকে বড় কোনও ভগবান নেই। রাম মন্দির নির্মাণের জন্য বহু বছর আমরা অপেক্ষা করেছি, ভূমি পুজোর সময় আমরা সেই অবিস্মরণীয় মুহূর্তের সাক্ষী হয়েছি। আর সেই ক্ষণকে স্মরণীয় করতেই আমি হাতে শ্রী রামের নামে ট্যাটু বানিয়েছি।