বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একুশের বিধানসভা টিকিট না পেয়ে কান্নাকাটি করেছিলেন একদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়াসঙ্গী তৃণমূলের দাপুটে বিধায়ক সোনালী গুহ। এরপরই তিনি দলত্যাগ করে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দেন। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর সোনালী গুহ বলেছিলেন, আমি টিকিট চাই না দলের কর্মী হিসেবে কাজ করতে চাই শুধু। বিজেপি ওনাকে টিকিট দেয়ও নি। আরেকদিকে, বিধানসভা নির্বাচনে ২০০ আসন নিয়ে ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখা বিজেপি ৭৭ আসনেই সীমাবদ্ধ হয়ে হারের মুখ দেখেছে।
বিজেপির হারের পর থেকে দলত্যাগি তৃণমূল নেতাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। এমনকি খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও দলত্যাগিদের ফেরার আহ্বান জানান। এরপরই বিজেপির অন্দরে নতুন করে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। একদিন আগেই প্রাক্তন তৃণমূল নেতা ভূষণ সিংহ যিনি শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তিনি বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করেন। আর এবার সোনালী গুহ তৃণমূলের যোগ দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন।
প্রিয় দিদি @MamataOfficial @AITCofficial pic.twitter.com/ZOtiSvvUSO
— SONALI GUHA (BOSE) (@SONALIGUHABOSE) May 22, 2021
টুইটারে একটি পোস্ট করে সোনালী গুহ লেখেন, ‘সম্মানীয় দিদি, আমার প্রণাম নেবেন। আমি সোনালী গুহ, অত্যন্ত ভগ্ন হৃদয়ে বলছি যে, আমি আবেগপূর্ণ হয়ে চরম অভিমানে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে অন্য দলে গিয়েছিলাম। ওটা আমার চরম ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু আমি সেখানে মানিয়ে নিতে পারছি না। মাছ যেমন জল ছাড়া বাঁচতে পারে না, তেমনই আমি আপনাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না। দিদি। আমি আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিন।”
সোনালী গুহ আরও লেখেন, ‘আপনি আমাকে ক্ষমা না করলে আমি বাঁচব না। আপনার আঁচলের তোলে আমাকে টেনে নিয়ে বাকি জীবনটা আপনার স্নেহতলে থাকার সুযোগ করে দিন।” সোনালী গুহর এই পোস্টের পর বিজেপির নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘এটা রাজনীতি। এখানে মান অভিমানের কোনও জায়গা নেই। যে যেখানে পারবে, সে সেখানে গিয়ে ভালো থাকুক। এটা ওনার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।” আরেকদিকে, তৃণমূলের সাংসদ সৌগত রায় বলেন, দলনেত্রী যা সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই হবে।