বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে ইতিমধ্যেই ভীষণরকম সরব হয়েছে বিজেপি। এমনকি এই অভিযোগ নিয়ে মামলাও চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। যার জেরে যথেষ্ট অস্বস্তিতে শাসক দল। একুশের নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলার একাধিক প্রান্ত। ঘরে ফেরার জন্য জরিমানা দিতে হচ্ছে অনেক বিজেপি কর্মীদের, সহ্য করতে হচ্ছে মারধর। এমনটাই অভিযোগ করেছিল বিজেপি।
ফের একবার তৃণমূল নেতার হিংসার ঘটনা প্রকাশ্যে এলো সোশ্যাল মিডিয়ায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরদ্বীপের রুদ্রনগর এলাকা থেকে ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, এক বৃদ্ধ গায়ের জোরে হেনস্থা করছেন দুই মহিলাকে। অভিযোগ উঠেছে ওই বৃদ্ধ আসলে তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান। বিজেপির সমর্থক হওয়ায় ওই দুই মহিলার দোকান বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন তিনি। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে চাবি দিতে কিছুতেই রাজি হচ্ছেন না ঐ বৃদ্ধ। যার জেরেই শুরু হয়েছে বচসা। প্রকাশ্য দিবালোকে শারীরিক হেনস্থার শিকার হচ্ছেন ওই দুই মহিলা।
ভিডিওটি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পেজ থেকে শেয়ার করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ও (Babul Supriyo)। তিনি লেখেন, “ভাবতে লজ্জা হয় আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা…মাননীয়া এই ঘটনাগুলি কি আপনি সত্যিই দেখতে পাচ্ছেন না?নাকি এগুলিও আপনার কাছে ‘ছোটো’ ঘটনা….! ‘বাংলা নিজের মেয়েকে ‘ চায় কিন্তু বাংলা নিজের মেয়েদের সুরক্ষা চায় না মাননীয়া?”
যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি বাংলা হান্ট। কিন্তু কারণ যাই হোক না কেন প্রকাশ্য দিবালোকে মহিলাদের ওপর এ ধরনের অত্যাচার মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। এর আগেও বিজেপির অভিযোগ ছিল, ভোট-পরবর্তী ক্ষেত্রে প্রতিহিংসার জেরে আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের মহিলাকর্মীরা। ধর্ষণ এবং অন্যান্য কুরুচিকর হুমকিও দেওয়া হচ্ছে তাদের। এমনকি এও জানা গিয়েছে আদালতে প্রায় ৭ হাজার মহিলার উপর অত্যাচারের অভিযোগ জমা পড়েছে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে। এবার ফের প্রকাশ্যে এলো চরম মহিলা হেনস্থার ঘটনা।