বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গণেশ ঠাকুরের বাহন হলেও ইঁদুরের উৎপাতে অতিষ্ঠ হননি, এমন বাড়ি প্রায় পাওয়া বিরল। বিশেষত গ্রামগঞ্জের দিকে ইঁদুরের উৎপাত থেকে খাবার-দাবার কিম্বা জামাকাপড় সরিয়ে রাখার একটা বড় দায়। ওষুধ-পত্র আছে বটে, তবে রাসায়নিক ওষুধ ব্যবহার করার সমস্যাও অনেক। একদিকে যেমন এতে দীর্ঘমেয়াদী কোন সুফল মেলে না, তেমনই আবার বাড়িতে বাচ্ছা ছেলে মেয়ে থাকলে তাদের জন্য রীতিমতো ক্ষতিকর হতে পারে এই কীটনাশক ওষুধগুলি।
সেক্ষেত্রে ইঁদুর থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া টোটকা কিছু আছে কি? নিশ্চয়ই আছে। সেরকমই গোটা চারেক জিনিসের নাম আজ আপনাদের বলব, যা ব্যবহার করলে বরাবরের জন্য ইঁদুরের উপদ্রব থেকে মুক্তি পেতে পারেন আপনি। আর এই সমস্ত জিনিস পাওয়াও প্রত্যন্ত সহজ। আসুন তাহলে দেখে নেওয়া যাকঃ
১.লঙ্কাগুঁড়োঃ রান্নাঘরে লঙ্কাগুঁড়ো নেই, এমনটা তো হতেই পারে না। একদিকে যেমন লঙ্কাগুঁড়ো খাবারের স্বাদ বাড়ায়, তেমনি এর ঝাঁঝ কিন্তু ইঁদুরদের কাছে খুবই অপ্রিয়। তাই যদি ইঁদুর যাতায়াতের রাস্তায় কিম্বা গর্তের মুখে একটু করে লঙ্কাগুঁড়ো ছড়িয়ে রাখতে পারেন তাহলে উপদ্রব অনেকটাই কমে যাবে।
২.বেকিং পাউডারঃ লঙ্কাগুঁড়ো গন্ধের মতোই ইঁদুরদের কাছে আরেকটি অসহ্য গন্ধ হল বেকিং পাউডারের গন্ধ। তাই ঘরের চৌকাঠের পাশে কিম্বা ইঁদুর যাতায়াতের রাস্তা বেকিং পাউডার ছড়িয়ে দিলে অবশ্যই ফল পাবেন। প্রতিদিন ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করে আবার নতুন করে বেকিং পাউডার ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন।
৩.লবঙ্গঃ ঘরের আনাচে-কানাচে বেকিং পাউডার বা লঙ্কাগুঁড়ো ছড়ানো গেলেও কাপড় জামার মধ্যে তো এ ধরনের জিনিসপত্র রাখা সম্ভব নয়। তাতে আপনার জামা কাপড় নষ্ট হবে, তাই এক্ষেত্রে একটি সেরা উপায় হল লবঙ্গ। লবঙ্গের ঝাঁঝ সহ্য করতে পারেনা ইঁদুর। তাই কাপড়ের ভাঁজে ভাঁজে কয়েকটা লবঙ্গ রেখে দিলে, অবশ্যই ফল মিলতে পারে।
৪. পেপারমেন্টঃ পেপারমেন্ট ইঁদুর একদমই সহ্য করতে পারেনা। পেপারমেন্ট কাগজ তেলে ডুবিয়ে ছোট ছোট বল করে ছড়িয়ে রাখলে এলাকায় ইঁদুরের উৎপাত অবশ্যই বন্ধ হবে।