বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজস্থানের আলওয়ার জেলায় বড়োদা মেও গ্রামে এক দলিত নাবালিকার সঙ্গে গণধর্ষণের ঘটনা সামনে এসেছে। দশম শ্রেণির পড়ুয়াকে স্কুলের রাস্তাতেই আটকে গণধর্ষণ করা হয়। এমনকি সেই ঘটনার ভিডিও রেকর্ডিং করে ভাইরাল করারও হুমকি দিয়ে তিনবার গণধর্ষণ করে ধর্ষকরা। শনিবার নির্যাতিতার বাবার থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশে দায়ের অভিযোগ অনুযায়ী, নির্যাতিতা একটি হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করত। সেই গ্রামের এক যুবক তাঁর সঙ্গে বন্ধুত্ব করার জন্য চাপ সৃষ্টি করত। ২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ অভিযুক্ত তালীম আর আমির খান সরকারি স্কুলের সামনেই নাবালিকাকে বন্ধুত্ব করার জন্য চাপ দিতে থাকে। নাবালিকা আপত্তি জানানোয় তাঁকে জোর করে মাদকদ্রব্য খাইয়ে দেয়।
নির্যাতিতার বাবার বয়ান অনুযায়ী, তাঁর মেয়ের তখন বেহুঁশ হয়ে যায়। আর সেই সময় ধর্ষকরা তাঁকে চাষের জমিতে নিয়ে গিয়ে সেখানে গণধর্ষণ করে এবং সেই ঘটনার ভিডিও রেকর্ডিং করে। হুঁশ ফেরার পর কাউকে এই ঘটনা না জানানোর হুমকি দেয় ধর্ষকরা। তাঁকে এও বলে যে, এই ঘটনা কাউকে বললে তাঁকে মেরে ফেলা হবে আর ধর্ষণের ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়া হবে। এরপর থেকে সেই ভিডিও দেখিয়ে ধর্ষকরা বেশ কয়েকবার নির্যাতিতাকে ব্ল্যাকমেল করে ধর্ষণ করে।
ভয়ে নির্যাতিতা কাউকে কিছু বলতে পারেনি। কিন্তু বাড়ির লোকেরা তাঁর মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু দেখতে পেরে সন্দেহ করে। এরপর নির্যাতিতাকে চাপ দেওয়ায় সবকিছু বলে দেয় সে। ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর নির্যাতিতার বাবা শনিবার থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ দুই যুবক আর তাঁর দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে।