বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউডের প্রথম শ্রেণির অভিনেত্রী তিনি। সেই সঙ্গে দুই ছেলের মা ও। অন্য তারকাদের মতো লুকিয়ে চুরিয়ে নয়, বরং আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে দ্বিতীয় প্রেগনেন্সির ঘোষনা করেছিলেন করিনা কাপুর খান (kareena kapoor khan)। চলতি বছরের শুরুর দিকেই মা হয়েছেন জেহ আলি খানের। নাম প্রকাশ্যে আনলেও এখনো ছোট ছেলের মুখ দেখাননি অভিনেত্রী। এর মাঝেই ফের তৃতীয় সন্তান আসার ঘোষনা সেরে ফেললেন করিনা!
না না, চমকাবেন না! করিনার তৃতীয় সন্তান আসছে ঠিকই, তবে এর মধ্যে একটু টুইস্ট রয়েছে। প্রেগনেন্সির উপরে নতুন বই লিখেছেন করিনা, এ খবর তো সকলেই জানেন। কেরিয়ারের পাশাপাশি বড় ছেলে তৈমুর (taimur ali khan) ও ছোট ছেলে জেহ দুজনকেই কড়া নজরে নজরে মানুষ করছেন তিনি। কীভাবে সামলে ওঠেন দু দিক? নিজের বই ‘প্রেগনেন্সি বাইবেল’এ হদিশ দিয়েছেন সে তথ্যেরই।
এই বইটিই হল করিনার তৃতীয় সন্তান। নিজের একটি অংশ মনে করেন তিনি বইটিকে। এদিন নিজের বইয়ের ব্যাপারে আলোচনায় ইনস্টাগ্রাম লাইভে আসেন করিনা, সঙ্গে ‘BFf’ করন জোহর। একটি ছোট্ট ভিডিও শেয়ার করে অনুরাগীদের ইনস্টাগ্রাম লাইভে অংশ নেওয়ার অনুরোধ করেন করিনা। সোমবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ লাইভে আসেন তিনি।
https://www.instagram.com/p/CSRgAlMDOpe/?utm_medium=copy_link
করিনার এই বইটি নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। বইয়ের নামের জন্য আইনি জটিলতায় ফেঁসেছেন তিনি। এক খ্রিস্টান সংগঠন পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেছে করিনার বিরুদ্ধে। গত ৯ জুলাই করিনার বই ‘প্রেগনেন্সি বাইবেল’ প্রকাশিত হয়। নিজের দুবারের অন্তঃসত্ত্বাকালীন সফরের কাহিনি এই বইতে তুলে ধরেছেন বেবো। নতুন মায়েদের জন্য বইটি বেশ কাজে লাগবে বলেই আশাবাদী ছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু বই প্রকাশের কিছুদিনের মধ্যেই বিতর্কে জড়িয়েছেন বেবো।
https://www.instagram.com/p/CSUNiqKDOxo/?utm_medium=copy_link
বইটির নাম নিয়ে আপত্তি প্রকাশ করে পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেছে আলফা ওমেগা ক্রিশ্চিয়ান মহাসংঘ। মহারাষ্ট্রের বিডের শিবাজি নগর পুলিস স্টেশনে করিনা সহ আরো দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন সংগঠনের প্রেসিডেন্ট আশিস শিন্ডে। তাঁর অভিযোগ, করিনা ও অদিতি শাহ ভিমজানির (বইটির সহ লেখিকা) লেখা এই বইয়ের নামে পবিত্র ‘বাইবেল’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে যা খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের ধর্মাবেগে আঘাত হানে। করিনা ও আরো দুজনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৫-এ ধারায় মামলা দায়েরের আবেদন জানিয়েছেন শিন্ডে। তবে পুলিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে অভিযোগ দায়ের হলেও কোনো এফআইআর দায়ের হয়নি।