বাংলাহান্ট ডেস্কঃ গত বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনার খাতে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষমতায় এসে চালু করেছিলেন ‘স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড’ (Student credit card) প্রকল্প। কিন্তু চালু করলেও, ঋণ দেওয়া নিয়ে সমস্যা দেখা গেল ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের অন্দরে।
‘স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড’ প্রকল্পের খাতে অর্থ ঋণ নেওয়ার জন্য ছাত্রছাত্রীদের কোনরকম গ্যারেন্টার লাগবে না, এক্ষেত্রে সরকারই হচ্ছে গ্যারেন্টার। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এমনটা ঘোষণা করার পরও, শোনা গিয়েছিল কোন ব্যাঙ্ক আবার পড়ুয়াদের থেকে বাড়ির দলিল কিংবা মোটা অংকের LIC সার্টিফিকেট জমা রাখতে বলছে।
আবার শোনা গিয়েছিল, এই প্রকল্পে প্রায় ১ লক্ষ পড়ুয়াদের আবেদন জমা পড়লেও, তার থেকে শুধুমাত্র ২২ হাজার আবেদন সদর দফতরে পাঠিয়ে ব্যাঙ্কগুলো এবং লোন পাওয়ার আয়ত্তায় পড়েছেন মাত্র ৪৯৩ জন ছাত্রছাত্রী। এই সমত অভিযোগ শোনার পর নড়েচড়ে বসে নবান্ন।
শুক্রবার রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী কড়া ভাষায় বলেন, কিছু বেসরকারী ব্যাঙ্ক আছে, যারা রাজ্য সরকারের প্রকল্পকে পাত্তা দিচ্ছে না। এমনটা চলতে থাকলে, সরকার সেই সমস্ত ব্যাঙ্ক থেকে অ্যাকাউন্ট সরিয়ে নেবে। শুক্রবার এমনটা বলার পর শনিবার ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি।
বৈঠকে বসেও খুব একটা লাভ হয় না। সরকারের এই প্রকল্পের সাথ দিচ্ছে শুধুমাত্র পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক, আর বাকি কোন ব্যাঙ্ক পড়ুয়াদের এই লোন দেওয়ার জন্য এখন প্রস্তুত নয়। তাঁরা জানিয়েছে, সদর দফতর থেকে এখন অনুমতি মেলেনি। অনুমতি পেলেই, এই লোন দেওয়ার কাজ শুরু করা হবে।
তবে এই ‘স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড’ প্রকল্প নিয়ে জট না কাটলেও, জানা গিয়েছে- এই লোন দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার প্রফেশনাল কোর্সগুলোর উপরই বেশি জোর দিচ্ছে। এই সবকোর্সের সঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ জড়িয়ে থাকার কারণে, ব্যাঙ্কগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।