বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আচমকাই রদবদল। সোমবার রাতে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিয়ে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) সরিয়ে দিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দিলীপ ঘোষের জায়গায় এলেন তরুণ নেতা তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। অন্যদিকে দিলীপ ঘোষকে মুকুল রায়ের জায়গা দেওয়া হল কেন্দ্রীয় কমিটির তরফ থেকে। এখন দিলীপ ঘোষ বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।
সোমবার বিজেপির পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে দিলীপ ঘোষকে বদলে ফেলে তাঁর জায়গায় সুকান্ত মজুমদারকে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি করা হয়। বিজেপির সর্বভারতীয় মহাসচিব অরুণ সিং একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই ঘোষণা করেন।
১৯৭৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর জন্ম সুকান্ত মজুমদারের। বোটানিতে PHD করেছেন তিনি। ২০১৯-র লোকসভা নির্বাচনে তাঁর উপর আস্থা রেখে বালুরঘাট আসন থেকে দাঁড় করায় বিজেপি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ভরসা ভাঙেননি সুকান্তবাবু। তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী অর্পিতা ঘোষকে পরাজিত করে প্রথমবার দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি।
সুকান্ত মজুমদার পেশায় একজন অধ্যাপক। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সঙ্গে তাঁর বহুদিনেরই যোগাযোগ। আর সেই সুবাদেই তাঁকে লোকসভার টিকিটও দেওয়া হয়েছিল। রাজনীতিতে নতুন মুখ হিসেবে এসেই সফলতার সিঁড়ি সহজেই হাসিল করেছিলেন তিনি। আর এখন তাঁর কাঁধে আরও দায়িত্ব দিয়ে বঙ্গ বিজেপিকে নতুন দিগন্তের দিকে নিয়ে যাওয়ার ভাবনা মোদী, শাহদের।
আরএসএস-র পাশাপাশি বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ সুকান্ত মজুমদার। নভেম্বর মাসে দিলীপ ঘোষের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তাঁর বহু আগে থেকেই রাজ্য সভাপতি বদল হওয়ার জল্পনা উঠেছিল। আর এও জানা যায় যে, স্বয়ং দিলীপ ঘোষই তাঁর উত্তরসূরি বেছে নিয়েছিলেন। তিনি নিজেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে সুকান্তবাবুর নামের ওকালতি করেছেন।
শুধু সাংসদই নন, সুকান্ত মজুমদারের নামের আগে যুক্ত রয়েছে ডক্টরেট ডিগ্রিও। বালুরঘাট থেকে তরুণ তুর্কিকে সভাপতি করে এক তীরে দুই নিশানা করতে চেয়েছে বিজেপি। একদিকে যেমন উত্তরবঙ্গের মানুষকে গেরুয়া শিবির বোঝাতে চাইছে যে, তাঁরা তাঁদের সঙ্গেই আছে। অন্যদিকে প্রবীণের বদলে নবীন মুখ করে রাজ্যের যুবদের আরও কাছে টানতে চাইছে তাঁরা।