বাংলাহান্ট ডেস্কঃ শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি যেন পিছু ছাড়ছে না বাংলার (west bengal)। নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কিছুদিন আগেই নানান বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা সংসদকে। সেই ঝঞ্ঝাট কিছুটা মিটলেও, এখন নতুন অভিযোগ- ২০১৬ সালে যোগ্যতা ছাড়াই নিয়োগ করা হয়েছিল শিক্ষক।
অভিযোগ উঠেছিল, যোগ্যতা ছাড়াই চাকরি দেওয়া হয়েছে বেশকিছু শিক্ষককে। এমনটাই ধরা পড়েছিল দক্ষিণ দিনাজপুরের এক শিক্ষকের ক্ষেত্রে। টেট না দিয়েই চাকরী পাওয়ার অভিযোগে তাঁকে বরখাস্ত করে দেওয়ার পর, আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ স্বীকার করে নেন তিনি। সঙ্গে এও জানান, যে ওই এলাকায় এমন ১২ জন আরও শিক্ষক রয়েছেন, যারা টেট না দিয়েই শিক্ষকতা করছেন।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই, শুর হয় নতুন মামলা। ২০১৬ সালের নিয়োগ করা ৪২ হাজার শিক্ষকের সমস্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই মর্মে বুধবার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের পক্ষ থেকে সমস্ত রিপোর্ট একটি সিল বন্ধ খামে জমা দেওয়ার জন্য নিয়ে যায় রাজ্য। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল জানান, ‘মুখ বন্ধ খামে দেওয়ার কি আছে? তথ্য লুকিয়ে রাখার কি প্রয়োজন?’
এই ৪২ হাজার শিক্ষক ছাড়াও আরও বেশ কয়েক হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল সেই সময়, আর সেই শিক্ষকদের সমস্ত তথ্যও উল্লেখ করতে বলে জানায় মামলাকারীর আইনজীবী। এই সমস্ত নথি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে আদালত এবং কোন বিষয়ে অভিযোগ থাকলে তা আগামী ১৬ ই নভেম্বরের মধ্যে মামলাকারীকে সেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে বলেও জানিয়েছে।
তবে এবিষয়ে সংসদের পক্ষের আইনজীবী লক্ষ্মী কুমার গুপ্ত জানালতে জানান, ‘শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্যানেলের মাধ্যমে রেকমেন্ড করার পর জেলা তাঁদের নিয়োগ করে। এক্ষেত্রে বোর্ডের কোন ভূমিকা থাকে না’।