বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দিল্লী গিয়ে যাদের সঙ্গে বিরোধী জোট গড়ার বার্তা দিয়ে এসেছিলেন, আজ যেন তাঁদের নাম শুনলেই তেজে বেগুনে জ্বলে উঠছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রীই নন, কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে ছাড়ছেন না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে কি জোট তৈরির আগেই জট বেঁধে গেল? এমন প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনীতির অন্দরে।
কিছুদিন আগেই ভবানীপুরের নির্বাচনী মঞ্চ থেকে কংগ্রেসকে আক্রমণ, তারপর গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা লুইজিনহো ফেলারিওর তৃণমূলে যোগদানের দিন- সর্বত্রই কংগ্রেস বিদ্বেষ শোনা গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। এবার সেই সুর আবারও শোনা গেল মুখ্যমন্ত্রীর কণ্ঠে।
বিষয়টা হল, বর্তমান সময়ে উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরের কৃষক মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। এই ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছে সকল বিরোধী দলগুলো। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার ঝাঁঝালো প্রতিবাদ করতে গিয়ে সেখানে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন সনিয়া-কন্যা কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢড়া (priyanka gandhi)। অন্যদিকে সেখানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকেও।
এই বিষয়ে লখিমপুরের ঘটনার তীব্র নিন্দা করে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের মুখোমুখী হয়ে প্রিয়াঙ্কার প্রসঙ্গকে এড়িয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিজেপিকে আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটা থোড়াই রাম রাজ! কিলিং রাজ চলছে’।
এরপরই সাংবাদিক বলেন, ‘প্রিয়ঙ্কা গান্ধী, অখিলেশ যাদব সহ বিভিন্ন বিরোধী নেতাদেরও সেখানে আটকে দেওয়া হয়েছে…’। একথা শুনেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অন্যদের কথা কেন বলছেন, আমাদের কথা বলুন’। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলতে শুরু করেন, ‘হাথরাস এবং অসমেও একই ঘটনা ঘটেছে। আমাদের প্রতিনিধি দলকে ঢুকতে দিচ্ছে না। যেখানেই বিজেপি রয়েছে, সেখানেই ১৪৪ ধারা জারী করে দিচ্ছে। এবার এই সরকাররে বিরুদ্ধেই মানুষ ১৪৪ ধারা জারী করবে’।
দিল্লী গিয়ে যে দলের সঙ্গে বিরোধী জোট গড়ার বার্তা দিয়েছিলেন, এখন কেনই বা তাঁদের প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, এমন প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। আবার বিশেষজ্ঞদের ধারণা, হয়ত ২৪-এ মোদী বিরোধী মুখ হিসেবে দিদিই থাকতে চাইছেন, অন্য কেউ নয়।