বাংলা হান্ট ডেস্কঃ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের মহাযুদ্ধ শুরু হতে চলেছে আর কয়েক দিনের মধ্যেই। ইতিমধ্যেই দল গুছিয়ে লড়াইয়ের জন্য তৈরি হয়ে গিয়েছে ভারতও। তবে বিশ্বকাপের আগে একটি সমস্যা এখন রীতিমতো মাথাব্যথার কারণ হয়ে রইলো বিসিসিআইয়ের জন্য। এই মূর্তিমান সমস্যার নাম হার্দিক পান্ডিয়া। হার্দিক এমন একজন অলরাউন্ডার যিনি একা হাতে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেবার ক্ষমতা রাখেন, আর তাই তাকে দলে রাখা নিয়ে সন্দেহ নেই কারোর মনেই।
কিন্তু শুধু ব্যাট নয় বল হাতেও হার্দিককে প্রয়োজন ভারতের। কার্যত শুরু থেকেই তাঁকে চতুর্থ জোরে বোলার হিসেবে দেখছিলেন নির্বাচকরা। কিন্তু এই ক্ষেত্রেই দেখা দিয়েছে সমস্যা, পিঠের চোট সারলেও আইপিএলে বল হাতে একবারও দেখা যায়নি হার্দিককে। শুধু তাই নয়, এবার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের ফিজিওদের তরফে বিসিসিআইকে দেওয়া হল এক গুরুত্বপূর্ণ আপডেট। সূত্রের খবর অনুযায়ী, হার্দিকের ফিটনেস নিয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের সাপোর্ট স্টাফদের সঙ্গে কথা বলেছিল বিসিসিআইয়ের মেডিকেল টিম। তবে এই বার্তালাপ খুব একটা আশাব্যঞ্জক হয়নি।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের তরফ থেকে জানানো হয়েছে বল করার জন্য এখনও সেভাবে প্রস্তুত নন হার্দিক। মেডিকেল টিমের কাছ থেকে পাওয়া এই রিপোর্ট এখন রীতিমতো চিন্তায় রাখবে বিসিসিআইকে। বিসিসিআই কর্মকর্তাদের মতে, বিশ্বকাপের টুর্নামেন্টের শুরু থেকে বল করতে পারবেননা হার্দিক পান্ডিয়া। তবে মধ্যপর্বে যদি তিনি সম্পূর্ণ ফিট হন তবে সেক্ষেত্রে তাকে হয়তো বা বল হাতে দেখা যেতে পারে। শুধু তাই নয় কার্যত হার্দিকের জন্যই অক্ষর প্যাটেলের বদলে শার্দুল ঠাকুরকে ১৫ জনের দলে সুযোগ দিতে হল নির্বাচকদের। অন্তত এমনটাই খবর পাওয়া গিয়েছে সূত্র মারফত।
বিসিসিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, অক্ষর প্যাটেলের জন্য তাদের খারাপ লাগছে যথেষ্ট। কিন্তু এই বাঁহাতি স্পিনারকে শার্দুলের জন্য দলে জায়গা করে দিতেই হত। আসলে জোরে বোলার হিসেবে মাত্র তিনজনকেই দলে সুযোগ দিয়েছে বিসিসিআই। আর সেই কারণেই একজন চতুর্থ বোলার থাকা অত্যন্ত জরুরী। সাধারণভাবে, হার্দিক পান্ডিয়াকেই চতুর্থ বোলার হিসেবে দেখছিল বিসিসিআই। কিন্তু তিনি যদি বল করতে না পারেন সে কথা মাথায় রেখেই সুযোগ দেওয়া হয়েছে শার্দুলকে। বিসিসিআইয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, অক্ষর তার পারফরম্যান্সের জন্য বাদ পড়েনি। বরং টিম কম্বিনেশনের কথা মাথায় রেখেই তাকে স্ট্যান্ডবাই খেলোয়াড় হিসেবে দলে রাখা হয়েছে।