বাংলাহান্ট ডেস্ক: অর্ডার করা খাবার না পৌঁছানোয় টুইট করে অভিযোগ শানিয়েছিলেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (prosenjit chatterjee)। খাবার না পেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নালিশ জানিয়েছিলেন ‘অভিমানী’ প্রসেনজিৎ। টুইট ভাইরাল হতে সময় লাগেনি। রাতারাতি ট্রোল, মিম শুরু হয়ে গিয়েছিল অভিনেতাকে নিয়ে।
লাগাতার ট্রোল হওয়ার পর অবশেষে মুখ খুললেন প্রসেনজিৎ। দাবি করলেন, অভিনেতা হিসেবে নয়, সাধারন নাগরিক হিসেবে টুইট করেছিলেন তিনি। সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় হিসেবে নয় বরং এক দায়িত্ববান নাগরিক হিসেবে টুইট করেছিলেন তিনি, যাতে ভবিষ্যতে কাউকে এই ধরনের সমস্যায় না পড়তে হয়।
তাঁর মতে, সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রির মানুষজনদের আরেকটু বেশি দায়িত্বশীল হওয়া উচিত। কারোর বিরুদ্ধে কোনো ব্যক্তিগত শত্রুতার জন্য এমনটা টুইট করেননি তিনি। আর নাই কারোর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তাঁর। অনেকেই মনে করেছেন এই ‘সামান্য’ ব্যাপারের জন্য প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীকে ট্যাগ করে বাড়াবাড়ি করে ফেলেছেন তিনি।
কিন্তু প্রসেনজিতের দাবি, সার্ভিস ইন্ডাস্ট্রির লোকদের দায়িত্বশীল করতেই এমনটা করেছেন তিনি। অ্যাপের মাধ্যমে যারা খাবার ও ওষুধ সরবরাহ করছেন তাদের আরেকটু দায়িত্বশীল হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। তাঁর কথায়, “ওষুধ যদি সময়মতো এসে না পৌঁছায় তার ফল মারাত্মক হতে পারে। সাধারনত বাড়িতে রান্না না করলে বা অতিথিরা এলে আমরা খাবার অর্ডার করে থাকি। কিন্তু যদি খাবার এসে না পৌঁছায় অথচ দেখায় যে পৌঁছে গিয়েছে তবে? মানুষ কি অভুক্ত থাকবে? এটা তো পোশাক নয় যে অপেক্ষা করা যাবে। এটা খাবার।”
খাবার অর্ডার করে না পৌঁছানোয় টুইটারে একটি সংক্ষিপ্ত চিঠি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছিলেন অভিনেতা। তাঁর চিঠি থেকে জানা গিয়েছে, গত ৩ রা নভেম্বর একটি জনপ্রিয় খাবার ডেলিভারি অ্যাপের মাধ্যমে খাবার অর্ডার করেছিলেন অভিনেতা।
কিছু সময় পরে তাঁর ফোনে মেসেজ আসে যে খাবারটি ডেলিভারি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কোনো খাবার পাননি তিনি। অ্যাপের হেল্পলাইনে অভিযোগ করেন প্রসেনজিৎ। খাবারের দাম ফেরত পেয়ে গেলেও গোটা বিষয়টা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রসেনজিৎ। কিন্তু তাঁর টুইট নিয়ে ট্রোলে মেতেছিল অনেকেই। তাঁদের বক্তব্য, এটাও প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীকে জানানোর মতো সমস্যা? গোটা দেশে বহু মানুষ খাবারের অভাবে ধুঁকছে। আর সেলিব্রিটিরা ফুলের ঘায়ে মূর্চ্ছা যাচ্ছেন! একজন ফোরন কেটেছেন, ‘রাষ্ট্রপতিকেই বা বাদ রাখলেন কেন? তাঁকেও ট্যাগ করে দিতেন’।