বাংলা হান্ট ডেস্ক: পরাধীন ভারতে অধিকাংশক্ষেত্রে মহিলাদের জীবন কাটত বাড়ির চার দেওয়ালের মধ্যে। সমাজের প্রায় সর্বস্তরেই দেখা যেত এই চিত্র। এমতাবস্থায়, তাঁদের পড়াশোনা করার বিষয়টি ছিল এক্কেবারে কল্পনাতীত।
সেই সময়ে সমগ্র নারী সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল নারীশিক্ষার বিষয়টি। আর সেই কাজে এগিয়ে আসেন নারীরাই! পরাধীন দেশে মহিলাদের লেখাপড়া শেখাতে উদ্যোগী হন জ্যোতিরাও, সাবিত্রীবাই ফুলে, ফতিমা শেখের মতো মহিয়সী মহিলারা।
শুধু তাই নয়, ১৮৪৮ সালে তাঁরা শুরু করেন ইন্ডিজেনাস লাইব্রেরি, যা দেশের প্রথম মহিলা স্কুলগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল। সেই লড়াকু নারীদের মধ্যে অন্যতম যোদ্ধা ফতিমা শেখের ১৯১ তম জন্মদিন আজ। ভারতের এই দামাল মেয়ের জন্মদিনে ডুডলের মাধ্যমে তাঁকে বিশ্বের দরবারে সম্মান জানাল গুগল!
১৮৩১ সালে আজকের দিনেই পুণেতে জন্মগ্রহণ করেন ফতিমা। প্রথম থেকেই লড়াকু মানসিকতার এই মহিয়সী মহিলা মুসলিম কিংবা দলিত মেয়েদের লেখাপড়া শেখানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেন। বাড়ি বাড়ি ঘুরে অভিভাবকদের কাছে করজোড়ে ভিক্ষা করে মেয়েদের স্কুলে পাঠানোর আর্জিও জানান তিনি।
পাশাপাশি, জ্যোতিরাও, সাবিত্রীবাই ফুলে যখন সমাজের নিম্নস্তরের মহিলাদের মাঝে শিক্ষার চেতনা পৌঁছতে উদ্যত হয়েছিলেন তখন তৎকালীন সমাজ থেকে তাঁদের বহিষ্কার করা হলে ফতিমাই সেদিন তাঁদের নিজের বাড়িতে আশ্রয় দিয়ে শিক্ষাদানের লড়াই জারি রাখেন।
সমাজের সমস্তরকম প্রতিবন্ধকতার সাথে লড়াই করে নিজের কর্মযজ্ঞে স্থির থাকেন ফতিমা। মহিলাদের শিক্ষার জন্য তাঁর এই লড়াই এখনও মনে রেখেছে সকলেই! তাঁর কাহিনি জায়গা করে নিয়েছে উর্দু পাঠ্যবইতেও। এমতাবস্থায়, এই মহিয়সী নারীর জন্মদিনে গুগলের ডুডলে তাঁকে কুর্নিশ জানাচ্ছে সমগ্র বিশ্ববাসীও!