বাংলাহান্ট ডেস্ক : এবার মসজিদ থেকে লাউডস্পিকার সরানোর দাবিতে সোচ্চার হলেন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা সুপ্রিমো রাজ ঠাকরে (মসজিদ থেকে লাউডস্পিকার না সরালে বাজানো হবে হনুমান চালিসা, সরাসরি হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ ঠাকরে)। আর যা নিয়েই বেশ শোরগোল আরব সাগর তীরের রাজনীতিতে।জানা যাচ্ছে, শনিবার মুম্বাইয়ের শিবাজি পার্কের মারাঠি নববর্ষের একটি সমাবেশে রাজ ঠাকরে তাঁর সমর্থকদের উদ্দ্যেশ্যে বলেন, ‘মসজিদে এত উচ্চস্বরে লাউড স্পিকার বাজানো হয় কেন? যখন ইসলাম ধর্মের যাত্রা শুরু হয়েছিল তখন কি লাউডস্পিকার ছিল? এটা বন্ধ না হলে মসজিদের বাইরে অতি উচ্চ স্বরে হনুমান চালিসা বাজানোর ব্যবস্থা করব আমি।’ এদিন তিনি আরও বলেন, ‘আমি কোনও প্রার্থনা বা ধর্মের বিরোধী নই। কিন্তু আমি আমার ধর্ম নিয়ে গর্বিত।
এদিন ন্যাশানাল কংগ্রেস পার্টিকেও এক হাত নিয়েছেন ঠাকরে। তাঁর দাবি, ন্যাশানাল কংগ্রেস মহারাষ্ট্রে জাত-ভিত্তিক বিদ্বেষ ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। এদিন তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘রাজ্যের মানুষ আজ জাতপাতের ভিত্তিতে একে অপরের সঙ্গে লড়াই করছে। একে অপরকে দূরে ঠেলে দিয়ে বিদ্বেষের মনোভাব নিয়ে থাকছে। আমরা কবে জাতপাতের বিভেদ থেকে বেরিয়ে এসে হিন্দু হব?’
এদিনের এই অনুষ্ঠানে হিন্দুত্বকে তুরুপের তাস বানিয়েই খেলেছেন এমএনএস নেতা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে আর্জি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মুম্বইয়ের মুসলিম অধ্যুষিক বস্তি এলাকায় পাকিস্তানের সমর্থকরা বাস করেন। মুম্বই পুলিশ ভালোমতোই জানে যে কী হচ্ছে। ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে তাঁদের ব্যবহার করছেন আমাদের বিধায়ক। তাঁদের আধার কার্ডও নেই। কিন্তু তাঁদের আধার কার্ড তৈরি করে দিচ্ছেন আমাদের বিধায়করা।’
উল্লেখ্য, এই অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই উত্তরপ্রদেশের ভুয়সী প্রশংসা করতে দেখা যায় এই মারাঠি নেতাকে। তিনি বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তা দেখে ভালো লাগছে।মহারাষ্ট্রেও এইরকম উন্নয়নই চাই আমরা। আমি অযোধ্যাতেও যাব।’