বাংলা হান্ট ডেস্ক: আজ গুগল ডুডল (Google Doodle) এমন একজন পালোয়ানের জন্মবার্ষিকী উদযাপন করছে যিনি সারা বিশ্বে তাঁর শক্তি প্রদর্শন করেছেন। মূলত, গুগল আজ ডুডলের মাধ্যমে গামা পালোয়ানকে স্মরণ করেছে, যাঁকে স্বাধীনতার আগে ভারতের সবচেয়ে বিখ্যাত কুস্তিগীরদের মধ্যে গণ্য করা হত। এমনকি, তৎকালীন কুস্তির জগতে গামার নাম ছিল সবার মুখে মুখে। পাশাপাশি, তিনি রুস্তম-ই-হিন্দ নামেও পরিচিত। শুধু তাই নয়, কুস্তির রিংয়ে তিনি “দ্য গ্রেট গামা” নামেও সমধিক জনপ্রিয় ছিলেন।
জানা যায় যে, গামার প্রশিক্ষণের রুটিন অনুসরণ করতেন ব্রুস লিও। এছাড়াও, তিনি গামার ভক্তও ছিলেন। গামা পালোয়ান ১৮৭৭ সালে অমৃতসরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর আসল নাম ছিল গোলাম মুহাম্মদ বক্স দত্ত। কুস্তিগীরদের পরিবারে জন্মগ্রহণকারী গামা প্রথম থেকেই কুস্তির প্রতি অনুরক্ত ছিলেন। ১৯১০ সালে, গামাকে “ওয়ার্ল্ড হেভিওয়েট” খেতাব দেওয়া হয়েছিল।
জানলে অবাক হবেন যে, মাত্র ১০ বছর বয়সেই তিনি ৫০০ টি ডন-বৈঠক এবং ৫০০ টি পুশ-আপ করতেন। এটা তাঁর দৈনন্দিন রুটিনের অংশ ছিল। ১৮৮৮ সালে, তিনি এমন এক প্রতিযোগিতা জিতেছিলেন যাতে সারা দেশ থেকে ৪০০ জন কুস্তিগীর অংশগ্রহণ করেন। আর এভাবেই তিনি অল্প বয়সেই খ্যাতি পেতে শুরু করেছিলেন।
এদিকে, ১৯০২ সালে গামা একটি ১,২০০ কেজির বিশাল পাথর উত্তোলন করেছিলেন। এক প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, এখন সেই পাথরটি বরোদার মিউজিয়ামে রাখা আছে। পাশাপাশি, তিনি রহিম বক্স সুলতানিওয়ালার সাথে একটি বিখ্যাত ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। যেখানে সুলতানিওয়ালা প্রায় ৭ ফুট লম্বা একজন কুস্তিগীর ছিলেন এবং গামার উচ্চতা ছিল ৫.৮ ফুট। দু’জনের মধ্যে চারবার সংঘর্ষ হয়েছিল যার মধ্যে প্রথম তিনটি ম্যাচ ড্র হয় এবং চতুর্থটি গামা জিতেছিলেন।
এমতাবস্থায়, গামার ক্ষমতায় মুগ্ধ হয়ে, প্রিন্স অফ ওয়েলস, ভারত সফরে এসে তাঁকে একটি রুপোর গদা উপহার দিয়েছিলেন। মূলত, গামা তাঁর জীবনের শেষ দিনগুলি লাহোরে কাটিয়েছিলেন এবং ১৯৬০ সালে তিনি মারা যান। তাই, যে গামা কুস্তির ক্ষেত্রে ভারতের নাম বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত করেছিলেন তাঁকে সম্মান জানিয়েই গুগল এই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে আজ। ডুডলে গামার এই প্রতিকৃতিটি এঁকেছেন শিল্পী বৃন্দা জাভেরি।