বাস্তব কাহিনি নিয়েই তৈরি ওয়েব সিরিজ, এঁরাই ‘পঞ্চায়েত’ এর আসল গ্রাম প্রধান-সচিব

বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিনোদন দুনিয়ায় এখন OTT র বাড়বাড়ন্ত। ওয়েব সিরিজে (Web Series) ছেয়ে গিয়েছে ইন্ডাস্ট্রি। আর এই মুহূর্তে সবথেকে বেশি চর্চায় রয়েছে যে সিরিজ সেটা হল ‘পঞ্চায়েত’ (Panchayat)। অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে সম্প্রচারিত এই সিরিজটির প্রথম সিজনের ব‍্যাপক জনপ্রিয়তার পর এসেছে দ্বিতীয় সিজনও।

উত্তরপ্রদেশের বালিয়ার এক ছোট্ট গ্রাম ফুলেরার গ্রাম পঞ্চায়েতের কাহিনি নিয়ে তৈরি হয়েছে এই সিরিজ। তবে পর্দা আর বাস্তব তো এক নয়। পঞ্চায়েত সিরিজের শুটিং গ্রামেই হয়েছে বটে তবে তা উত্তরপ্রদেশের ফুলেরা নয়, মধ‍্যপ্রদেশের সিহোর এর মহোড়িয়া গ্রামে।

falma ma sarapaca ka bhamaka nana gapata na nabhaii ha mahaugdhaya ka asal sarapaca rajakamara sasathaya ha 1653729710
আজ এই প্রতিবেদনে পরিচয় করাবো বাস্তবের মহোড়িয়া গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান ও অন‍্যান‍্য কর্মীদের সঙ্গে। পঞ্চায়েত সিরিজে গ্রামের মোড়লের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন নীনা গুপ্তা। তবে বাস্তবে এই গ্রামের মোড়ল হলেন রাজকুমারী সিসোদিয়া। পঞ্চায়েতের সচিবের নাম হরিশ যোশী এবং সহায়ক হলেন প্রতাপ সিং।

falma ma sacava ka bhamaka ma jatathara kamara ha mahaugdhaya sa sacava harasha jasha ha 1653729876
সিরিজের শুটিং হয়েছে এই গ্রামেই। আর বাস্তবের মানুষ গুলির মতো করেই বানানো হয়েছে গল্পের চরিত্রগুলি। সংবাদ মাধ‍্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে মোড়লের স্বামী লালসিং সিসোদিয়া বলেন, সিরিজের গল্প অনেকটাই বাস্তবের মতো। একটা গ্রাম পঞ্চায়েতে যা যা হয় সেটাই দেখানো হয়েছে পর্দায়। প্রথম সিজন তো ভাল ছিলই। দ্বিতীয়টা আরো ভাল হয়েছে।

তিনি আরো জানান, প্রথমে সিরিজের শুটিংয়ের জন‍্য উপযুক্ত জায়গা খুঁজতে ১৫০ টি গ্রাম ঘুরেছিলেন নির্মাতারা। শেষমেষ মহোড়িয়াতে এসেই পছন্দ হয়ে যায় তাঁদের। পঞ্চায়েত প্রধানের ঘর, পঞ্চায়েত ভবন যেমনটা দরকার ছিল তাদের তেমনটাই এখানে পেয়ে যান তারা। তারপর কালেক্টর এবং পঞ্চায়েতের থেকে অনুমতি নেওয়ার পর শুরু হয় শুটিং। গ্রাম প্রধানের ঘর, মেয়ের গাড়িই ব‍্যবহার হয়েছে সিরিজে।

falma ma parathhana pata ka bhamaka raghavara yathava na nabhaii ha mahaugdhaya ka sarapaca pata llsaha sasathaya ha 1653729481
পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী জানান, ওয়েব সিরিজের শুটিং তাঁদের গ্রামে হওয়ায় গ্রামবাসীরা রোজগারের মুখ দেখেছে। কোনো রকম কোনো অসুবিধা হয়নি কোনো পক্ষেরই। শুধু গ্রামের নাম বদলে দেওয়াতেই যা একটু দুঃখ পেয়েছেন সকলে।


Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর