ধর্ম অবমাননার অভিযোগ উঠেছিল কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে, স্বস্তি দিল ত্রিপুরার আদালত

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কিছুদিন পূর্বেই কলকাতা হাইকোর্টে দোষী সাব্যস্ত করা হলেও শেষ মুহূর্তে শাস্তি দেওয়া হয়নি আর এবার ত্রিপুরা আদালতেও বড়সড় স্বস্তি পেলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। উল্লেখ্য, গত বছর ত্রিপুরায় ‘জয় শ্রীরাম’-এর বিরোধিতা করতে গিয়ে সীতার পাতাল প্রবেশ প্রসঙ্গে বেশ কিছু মন্তব্য করেন কুণাল আর এর পরেই তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে দায়ের করা হয় মামলা। আর এই দিন সেই মামলাগুলি থেকে নিস্তার পেলেন তিনি।

সূত্রের খবর, এদিন কুণালের বিরুদ্ধে তিনটি মামলাতেই তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে ত্রিপুরা আদালত। এক্ষেত্রে 30000 টাকার বন্ডে জামিন দেওয়া হয় তাঁকে। উল্লেখ্য, কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে মামলাটি ওঠে ত্রিপুরার গোমতী জেলার অমরপুর আদালতে। এদিন সেখানেই সংঘটিত হয় শুনানি। যার শেষে জামিন মঞ্জুর হয় তৃণমূল নেতার। শুনানি শেষে এদিন কুণালের আইনজীবী বলেন, “কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে আদালতে যে মামলাগুলি করা হয়েছিল, তার কোনরকম সারবত্তা ছিল না। ফলে বিপক্ষ আইনজীবীর দ্বারা এদিন যেসকল সওয়াল করা হয়, তা ছিল একদমই অপ্রাসঙ্গিক।”

আদালতের রায় প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেন, “আসলে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানের দ্বারা হিংসা প্রকাশ করে বিজেপি। তাই আমি সেই প্রসঙ্গেই মন্তব্য করেছিলাম, এক্ষেত্রে সীতাকে কোনরকম অপমান করার অভিসন্ধি ছিল না আমার।”

কুণালের বিরুদ্ধে মামলা
গত বছর সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে রামায়ণকে উদ্ধৃত করে সীতার মানসিক যন্ত্রণা তুলে ধরেন কুণাল ঘোষ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরবর্তীকালে ধর্মে আঘাত হানার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করে ত্রিপুরা পুলিশ।

তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, “অতীতে জয় সীতারাম বা সিয়ারাম কথাটি প্রচলিত থাকলেও পরবর্তীতে সেটিকে বিকৃত করে সীতাকে বাদ দেওয়া হয় এবং শ্রীরাম বলে সম্বোধন করা হয়।” এছাড়াও তিনি বলেন, “রামরাজ্যে সীতাকে অপমানিত হতে হয় এবং অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় তাঁকে বনবাসে যেতে বাধ্য হতে হয়। এরপর পাতালে প্রবেশ করার মাধ্যমে আত্মহনন করেন সীতা।” তাঁর এই মন্তব্য ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হেনেছে বলে দাবি তুলে আদালতে মামলা দায়ের করে ত্রিপুরা পুলিশ। তবে সেই মামলাগুলি থেকে বর্তমানে নিস্তার পাওয়া তৃণমূল নেতা সহ দলের জন্যও বড় জয় বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।


Sayan Das

সম্পর্কিত খবর