বাংলাহান্ট ডেস্ক : ‘সাপও মারা হলো, কিন্তু লাঠিও ভাঙল না।’ নূপুর শর্মা (Nupur Sharma) বিতর্কে আমেরিকা (United States) এবার কূটনৈতিক অবস্থান নিল। এ বিষয়ে অত্যন্ত সাবধানী পদক্ষেপ করল আমেরিকার। বিজেপি (Bharatiya Janata Party) নেত্রীর বক্তব্যকে সমালোচনা করল, কিন্তু বিজেপি সরকারের বিরোধীতা করে ভারতের বিরাগভাজন হলো না বিশ্বের শক্তিশালী রাষ্ট্রটি। বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মা ও নবীন জিন্দলের পয়গম্বর বিরোধী বক্তব্যকে ধিক্কার জানাল জো বাইডেন সরকার। কিন্তু সঙ্গে এই বিতর্কে বিজেপির অবস্থানেরও প্রশংসা করেছে আমেরিকার বিদেশ মন্ত্রক।
বাইডেন সরকারের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, ‘বিজেপি কর্মী নূপুর শর্মা ও নবীন জিন্দাল যে মন্তব্য করেছেন, তার নিন্দা করছি আমরা। তবে এটা দেখে আমাদের ভাল লাগছে যে, বিজেপি প্রকাশ্যেই মন্তব্যকে বিরোধিতা করেছে।’ নেড আরও বলেন, ‘মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়গুলি, যেমন ধর্মীয় স্বাধীনতা ও বিশ্বাস নিয়ে প্রতি নিয়ত ভারত সরকারের উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকদের সঙ্গে আমরা কথা বলি। মানবাধিকার সুরক্ষার্থে ভারতের করা পদক্ষেপকে আমরা সাধুবাদ জানাই।’
প্রসঙ্গত, একটি জনপ্রিয় টেলিভিশনের বিতর্ক সভায় অংশ নিয়ে পয়গম্বর নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন তৎকালীন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র নূপুর শর্মা। তাঁর সেই মন্তব্যের সমর্থনে ট্যুইট করেন আর এক বিজেপি নেতা নবীন জিন্দল। তারপরই আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বিতর্কের ঝড় বয়ে যায়। তাঁর বক্তব্যকে ঘিরে দুইভাগে ভাগ হয়ে যায় আন্তর্জাতিক রাজনীতি। ইতিমধ্যেই ইরান, কাতার-সহ একাধিক মুসলিম প্রধান দেশ নূপুরের মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে। তেমনই তারেক ফতেহের মতো খ্যাতনামা লেখক প্রকাশ্যেই সমর্থন জানায় নূপুর শর্মাকে।
ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এই মন্তব্যের বিরোধিতায় বিক্ষোভ প্রদর্শন চলে। পশ্চিমবঙ্গে দফায় দফায় চলে বিক্ষোভ ও রাস্তা অবরোধ। তবে বিজেপি নূপুর শর্মাকে দল থেকে বরখাস্ত করে অনেক আগেই। নূপুর শর্মার বক্তব্যকে ট্যুইট করে সমর্থন করার অপরাধে বহিষ্কার করা হয় নবীন জিন্দলকেও। দেশের বিভিন্ন থানায় নূপুরের বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের করা হয়। তবে এই পুরো বিষয় নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও কথা বলেননি বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।