বাংলাহান্ট ডেস্ক: রথযাত্রার (Rathyatra) উৎসবে মাতোয়ারা গোটা দেশ। জগন্নাথ ধাম সেজে উঠেছে, জগন্নাথদেব দাদা আর বোনের সঙ্গে মাসির বাড়ি যাবেন যে। অন্যদিকে বাংলাতেও দৃশ্যটা কিছুটা একই রকম। মাহেশের ঐতিহ্যপূর্ণ রথযাত্রা তো রয়েছেই, পাশাপাশি ইস্কনের রথযাত্রার সূচনাও করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন অভিনেত্রী সাংসদ নুসরত জাহানও (Nusrat Jahan)।
যেকোনো ধর্মীয় উৎসবেই অংশগ্রহণ করতে দেখা যায় নুসরতকে। এর জন্য বহুবার ট্রোল হয়েছেন তিনি। কট্টরপন্থীদের চোখ রাঙানি সহ্য করেও তিনি বারবার যোগ দিয়েছেন দূর্গাপুজো, রথযাত্রার মতো উৎসবে। এর আগে রথযাত্রার উৎসবে নুসরতের পাশে দেখা গিয়েছিল প্রাক্তন সঙ্গী নিখিল জৈনকে।
সেসব অবশ্য অনেক পুরনো কথা। এখন নতুন সঙ্গী খুঁজে নিয়েছেন নুসরত। যশ দাশগুপ্তর সঙ্গে গতবছর পুজোয় ঢাক বাজাতে দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রী সাংসদকে। কিন্তু এবারে রথযাত্রার উৎসবে দেখা মিলল না যশের। একাই ইস্কনের রথযাত্রায় অংশ নিয়েছিলেন নুসরত জাহান।
হলুদ সালোয়ার কামিজে সেজে এদিন উৎসবে যোগ দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর পাশে পাশেই ছিলেন তিনি। এছাড়াও এদিন দেখা গেল বিধায়ক অভিনেতা সোহম চক্রবর্তীকেও। মুখ্যমন্ত্রী নিজে এদিন আরতি করেন জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রাকে। তার পর আরতি করেন নুসরত এবং সোহমও।
রথের দড়িতে প্রথমে টান দিয়ে রথযাত্রার শুভ সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর নারকেল ফাটিয়ে রথের দড়িতে টান দেন দুই বিধায়কই। শাসক দলের নেতৃত্ববৃন্দরা থাকার কারণেই সম্ভবত এদিন দেখা যায়নি যশ দাশগুপ্তকে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ এ তুরস্কের বোদরুমে নিখিল জৈনের সঙ্গে বিয়ে সেরেছিলেন নুসরত। সেই বিয়ের পরপরই সেজেগুজে ‘স্বামী’কে সঙ্গে নিয়ে রথযাত্রার উৎসবে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। মুসলিম ধর্মাবলম্বী হয়েও হিন্দু উৎসবে যোগ দেওয়ায় তুমুল কটাক্ষের মুখে পড়েছিলেন বসিরহাটের সাংসদ।
তারপর অবশ্য আরো বড় বিতর্কে জড়ান নুসরত। তাঁর বিয়েটা নিয়েই প্রশ্ন উঠে যায়। পরবর্তীকালে যশের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর পর গত বছর দূর্গাপুজোয় একসঙ্গে ঢাক বাজান দুজনে।