বাংলাহান্ট ডেস্ক: তরুণ মজুমদারের (Tarun Majumdar) ‘আলো’, এত বছর পরেও একই রকম প্রাসঙ্গিক। বাংলা চলচ্চিত্রে অন্যতম মাইলফলক এই ছবি। তরুণ মজুমদারের পরিচালনায় অভিনয় করার সুযোগ হয়েছিল ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর (Rituparna Sengupta)। আজও তিনি সিনেপ্রেমীদের আর্জি শোনেন, ‘আলো’র মতো আরেকটি ছবি কি বানানো যায় না? যিনি বানাতে পারতেন তিনিই আজ ফাঁকি দিয়ে পাড়ি দিয়েছেন অমৃতলোকে।
তরুণ মজুমদার যখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তখন সংবাদ মাধ্যমকে ঋতুপর্ণা বলেছিলেন, ঠিক সুস্থ হয়ে উঠবেন পরিচালক। আরো যে অনেক ছবি উপহার দেওয়া বাকি। ফেরা হল না পরিচালকের। তরুণ মজুমদারের সঙ্গে আলো সহ তিনটি ছবিতে কাজ করেছিলেন ঋতুপর্ণা। সেই তালিকাটা আর বাড়ল না।
চাঁদের বাড়ি, ভালবাসার বাড়ি দুটো ছবিই খুব হিট হয়েছিল। ঢেলে সাজিয়েছিলেন স্টারকাস্ট। ঋতুপর্ণা বলেন, ওই ছবির মাধ্যমে পারিবারিক সম্পর্ক, বন্ধনকে সম্মান করতে শিখিয়েছিলেন তরুণ মজুমদার। ভালবাসার বাড়ি ছবিতে দর্শকরা পেয়েছিলেন ভালবাসায় ভরা একটা সংসারের গল্প।
ঋতুপর্ণার মতে, শুধু টলিউড ইন্ডাস্ট্রি নয়, ভারতীয় চলচ্চিত্রকেই সিনেমার এক নতুন দিক দেখিয়েছিলেন পরিচালক তরুণ মজুমদার। কমার্শিয়াল ছবিতেই ফুটে উঠেছিল তাঁর শিল্পসত্ত্বা। পারিবারিক বন্ধন, সম্পর্ক, প্রেমকে নতুন ভাবে চিনিয়েছিল তাঁর ছবিগুলি।
ঋতুপর্ণার কাছে তরুণ মজুমদার এক প্রতিষ্ঠান স্বরূপ। তাঁর মাত্র তিনটি ছবিতে কাজ করতে পেরেছিলেন অভিনেত্রী। এছাড়া গণদেবতা, দাদার কীর্তি, পলাতক, ভালবাসা ভালবাসার মতো ছবিও খুব প্রিয় ঋতুপর্ণার কাছে।
সোমবার সকালে এসএসকেএম হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন পরিচালক তরুণ মজুমদার। ঋতুপর্ণা এখন বিদেশে। শেষ দেখা দেখতে না পারলেও দূর থেকেই প্রণাম করছ আর্জি জানিয়েছেন তিনি, আবারো ফিরে আসুন পরিচালক। উপহার দিন নতুন সৃষ্টি।