বাংলা হান্ট ডেস্ক: একটা সময় ছিল যখন আমাদের দেশে কন্যা সন্তানদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করা হত। এমনকি, এখনও কিছু কিছু জায়গায় কন্যা সন্তান হওয়ার কারণে তাদের প্রাণনাশের ঘটনাও সামনে আসে। যদিও, এবার এমন একটি ঘটনার প্রসঙ্গ আপনাদের জানাবো যা সত্যিই মন ভালো করে দেবে। পাশাপাশি, বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে এই ঘটনা প্রাসঙ্গিকও বটে।
৪৫ বছর পর পরিবারে কন্যা সন্তানের জন্ম: মূলত, বিহারের একটি পরিবার তাঁদের সদ্যজাত কন্যা সন্তানকে পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, মেয়ের আগমনে রীতিমতো উৎসব শুরু হয়েছে পরিবারে। বিহারের ছাপড়ার ওই পরিবারটি রীতিমতো ব্যান্ড বাজিয়ে মহাসমারোহে উদযাপন করেছে বিষয়টি। জানা গিয়েছে, ওই পরিবারে দীর্ঘ ৪৫ বছর অপেক্ষার পর কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। আর সেই কারণেই স্বাভাবিকভাবে আনন্দের পরিমান কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে।
পাশাপাশি, হাসপাতাল থেকে মেয়ে বাড়িতে আসার সময় তাকে বরণ করার আয়োজন করা হয় ধুমধাম করে। শুধু তাই নয়, ব্যান্ড বাজিয়ে এবং সুসজ্জিত পালকিতে সাজিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আনা হয় ঘরের লক্ষ্মীকে। এছাড়াও, মহিলারাও তাকে স্বাগত জানাতে মঙ্গল গান গাইতে থাকেন। অপরদিকে, বাড়ির অন্যান্য সদস্যরাও বাদ্যের তালে তালে পুরো বিষয়টি উপভোগ করতে থাকেন।
পরিবারে এসেছে খুশির জোয়ার: জানা গিয়েছে, বিহারের ছাপড়ার একমা নগর পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা ধীরাজ গুপ্তর পরিবারে এখন খুশির জোয়ার বইছে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর তাঁরা কন্যা সন্তানকে পেয়েছেন। একমার একটি বেসরকারি হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করে ওই শিশুকন্যা। তারপরেই আনন্দে মেতে ওঠেন পরিবারের লোকজন। পাশাপাশি, মিষ্টিমুখ করানো হয় হাসপাতালের সব কর্মচারীদেরও।
বাড়িতে এসেছে লক্ষ্মী: এই প্রসঙ্গে ধীরজ গুপ্তর দাদা বাবলু গুপ্ত জানিয়েছেন যে, তাঁরা ৪ ভাই হলেও কারও বাড়িতে কোনো মেয়ে ছিল না। যে কারণে কন্যাসন্তানের জন্য সবাই অপেক্ষায় ছিলেন। এমতাবস্থায়, প্রায় ৪৫ বছর পর তাঁদের সংসারে এই অভাব পূরণ হয়েছে। এছাড়াও, ওই পরিবারের প্রধান এবং শিশুকন্যাটির ঠাকুরদা শিবজি প্রসাদ জানিয়েছেন “কন্যারা হল লক্ষ্মীর রূপ”।