বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিক সময়ে বঙ্গ রাজনীতিতে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) নামটি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে কেষ্টকে নিয়ে একের পর এক নয়া তথ্য সামনে উঠে এসেছে, যা হতবাক করেছে গোটা বাংলাকে। বর্তমানে অনুব্রতর নামে একাধিক সম্পত্তি পাওয়ার পাশাপাশি তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠদের উপরেও নজর রেখে চলেছেন তদন্তকারী অফিসাররা। এই মামলায় বর্তমানে সিবিআইয়ের নজরে উঠে এলো মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বেশ কয়েকটি থানার আধিকারিকরা।
সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদের মোট সাতটি থানা সংলগ্ন এলাকার পুলিশকর্মীদের মদতেই বাংলাদেশে গরু পাচার করা হয়ে থাকত। ফলে এই মামলায় তাদের ভূমিকা ঠিক কতখানি রয়েছে, তা জানতেই উঠেপড়ে বসলো সিবিআই অফিসাররা। গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হক এবং আব্দুল লতিফের সঙ্গে থানার আধিকারিকদের যোগাযোগ ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। সিবিআই সূত্রে খবর, পরবর্তী সময়ে এ সকল পুলিশ আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে। এই মামলায় ইতিমধ্যে সিবিআইয়ের হাতে এসেছে বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর তথ্য। এক্ষেত্রে অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর আত্মীয়দের নামে ১৭”-কোটি টাকার সম্পত্তি পাওয়ার পাশাপাশি তৃণমূল নেতার মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের নামে একাধিক কোম্পানি এবং জমির হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা। কয়েকদিন পূর্বেই অনুব্রতর রাইস মিলে সন্ধান চালিয়ে একাধিক গাড়ি উদ্ধার করে সিবিআই। তবে তদন্তে কোনরকম ত্রুটি রাখতে চাইছে না তারা। সেই সূত্রেই বর্তমানে মুর্শিদাবাদের কয়েকটি থানা নজরে এসছে CBI-এর।
গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত আব্দুল লতিফ ও তার ঘনিষ্ঠ গরু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একাধিক পুলিশকর্মীর যোগাযোগ থাকতে পারে বলেই অনুমান সিবিআইয়ের। তবে শুধুমাত্র থানা আধিকারিকরাই নন, এক্ষেত্রে বিএসএফ এবং শুল্ক দফতরের কর্মীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চলেছে তদন্তকারী অফিসাররা। গরু পাচার কাণ্ডে সায়গল হোসেন, আব্দুল লতিফদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ ছিল বলেই মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে এই মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের ভূমিকা ঠিক কতখানি রয়েছে, তা জানতে ঝাঁপাবে সিবিআই।