বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ক্যানিং (Canning) থেকে কেরল (Kerala); পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে সুদূর কেরলে পাড়ি দিলেও হলো না শেষ রক্ষা। অবশেষে দীর্ঘ ৫০ দিন পর পুলিশের হাতে গ্রেফতার হল তিন তৃণমূল কর্মী খুনে মূল অভিযুক্ত রফিকুল সর্দার (Rafikul Sardar)।
গত ৭ ই জুলাই ক্যানিংয়ের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জেলেপাড়া এলাকায় তিন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। একুশে জুলাই ‘শহীদ দিবস’-এর পূর্বে যেভাবে ৩ পঞ্চায়েত সদস্যকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়, তা ঘিরে শুরু হয় একাধিক বিতর্ক। খুনের পেছনে রাজনৈতিক যোগ রয়েছে নাকি কেবল ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে এহেন নৃশংসতা, সে বিষয়ে ওঠে একাধিক প্রশ্ন। ভূতনাথ প্রামাণিক, ঝন্টু হালদার এবং স্বপন মাঝি নামের তিন তৃণমূল কর্মীকে গুলি এবং পরবর্তীতে কুপিয়ে খুন করার ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হলেও উধাও হয়ে যায় মূল অভিযুক্ত রফিকুল। অবশেষে এদিন তাকে ধরতে সক্ষম হলো প্রশাসন।
ক্যানিং থেকে সোজা কেরল! গা ঢাকা দিতে দক্ষিণ ভারতেই ভরসা রাখে রফিকুল। সূত্রের খবর, কেরলের একটি বাড়িতে রংমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করছিল সে এবং পরবর্তীতে সেখানে আত্মগোপন করে থাকে। তবে এত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও হয়নি শেষরক্ষা। গত ২৩ শে জুলাই এই সংক্রান্ত খবর সামনে আসতেই কেরলের কোকিঝাড়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় পুলিশের একটি বিশেষ দল আর দীর্ঘ চেষ্টার পর অবশেষে সফল হল ক্যানিং পুলিশ।
সূত্রের খবর, গতকাল রফিকুলের ডেরা সম্পর্কে খবর পেতেই তাকে ধরতে উদ্ধত হয় পুলিশ। এক্ষেত্রে মূলত ছদ্মবেশেই ছিলো তারা। সেই সময় তাদেরকে দেখে লুঙ্গি পরেই একপ্রকার দৌড়াতে আরম্ভ করে অভিযুক্ত। অপরদিকে, লুঙ্গি পরিহিত পুলিশ কর্মীদের তরফ থেকে বেশ কয়েকবার শূন্যে গুলি ছোড়া হলেও থামেনি রফিকুল। তবে অপরদিকে হার মানতে নারাজ ছিলো পুলিশ বাহিনী এবং অবশেষে অভিযুক্তকে ধরতে সক্ষম হয় তারা।
পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই খুনের সকল অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছে রফিকুল। ট্রানজিট রিমান্ডে তাকে ক্যানিংয়ে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে রফিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে তিন তৃণমূল কর্মী খুনের পেছনে আসল রহস্য জানতে তৎপর প্রশাসন।