বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিক সময়ে বাংলায় রাজ্য বনাম কেন্দ্র দ্বন্দ্বে সরগরম রাজনীতি। একদিকে যখন তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) কেন্দ্রের বিজেপি (Bharatiya Janata Party) সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক আক্রমণ শানিয়ে চলেছে, আবার রাজ্যের শাসকদলকে উৎখাত করার ডাক দিয়ে আন্দোলন করে চলেছে পদ্মফুল শিবির। আর এবার বিজেপির নবান্ন অভিযানকে ঘিরে রাজ্য পুলিশ এবং আরপিএফ-এর মধ্যে বাধলো কথা কাটাকাটি। আরপিএফের নির্দেশে শেষ পর্যন্ত রেলস্টেশন থেকে বেরিয়ে যেতে হয় রাজ্য পুলিশকে।
ঘটনাটি আলিপুরদুয়ারের। তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতি এবং অপশাসনের বিরুদ্ধে বিজেপির ‘নবান্ন অভিযান’ ঘিরে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি। এর মাঝেই বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিজেপি কর্মীদের নিয়ে আসতে একাধিক ট্রেন বুক করেছে রাজ্য নেতৃত্ব। গতকাল আলিপুরদুয়ার থেকে ট্রেনে উঠতে রওনা দেয় অসংখ্য বিজেপি কর্মী। পাল্টা সেখানে তাদের ধরপাকড় করতে পৌঁছে যায় রাজ্য পুলিশ। পরবর্তীতে অবশ্য আরপিএফ এসে পুলিশ কর্মীদের বার করে দেয় বলে খবর সামনে এসেছে।
উল্লেখ্য, অতীতে বিএসএফের সঙ্গে রাজ্য সরকারের যেমন দ্বন্দ্ব লেগেছে, ঠিক তেমনভাবে একাধিক ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই এবং ইডির সঙ্গেও রাজ্য পুলিশের ‘সুসম্পর্ক’ সর্বজনবিদিত। এর মাঝেই গতকাল বিজেপি কর্মীদের ধরপাকড় করা নিয়ে আরপিএফ-এর সঙ্গে রাজ্য পুলিশের শুরু হয় কথা কাটাকাটি। পরবর্তীতে পুলিশ কর্মীদের রেলস্টেশন থেকে বার করে দেয় আরপিএফ।
সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, নবান্ন অভিযানে যোগ দেওয়ার জন্য গতকাল আলিপুরদুয়ার স্টেশনে পৌঁছে যায় অসংখ্য বিজেপি কর্মী। তবে পরবর্তীতে জেলার অতিরিক্ত এসপি অম্লান ঘোষ এবং আইসি অনিন্দ্য ভট্টাচার্য সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছে যায় স্টেশনে এবং পরবর্তীতে সকল কর্মীদের ধরপাকড় করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে তারা।
সূত্রের খবর, এরপরই জেলা ডিভিশনের আরপিএফ সিকিউরিটি কমিশনার দেবাশিস ব্যানার্জি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং এসপি ও আইসি অনিন্দ্য ভট্টাচার্যকে সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। এক্ষেত্রে দেবাশিস ব্যানার্জি বলেন, “যারা ট্রেন বুক করে যাচ্ছেন, তারা কাস্টমার। তবে আপনারা স্টেশনের ভিতরে ঢুকে ধরপাকড় করছেন কি কারনে? স্টেশনের বাইরে যা করার করুন। স্টেশনের ভেতর এলাকা আপনাদের আওতায় পড়ে না।”
পরবর্তীতে কথা কাটাকাটি শুরু হলেও শেষ পর্যন্ত সেখান থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হয় রাজ্য পুলিশ। বর্তমানে পুলিশের এহেন ভূমিকা নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি। এক বিজেপি নেতা বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে রানিতন্ত্র চলছে। সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিলে তাদের ধরা হচ্ছে। আমরা নবান্ন অভিযানের পথে শান্তিপূর্ণভাবে রওনা দিয়েছি। তা সত্ত্বেও সরকারের কথা মত পুলিশ এসে আমাদেরকে বাধা দেয়। এটা অনুচিত।”