বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) জন্মদিন উপলক্ষ্যে নামিবিয়া (Namibia) থেকে মোট আটটি চিতা নিয়ে আসা হয় এবং পরবর্তীতে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) কুনো পালপুর অভয়ারণ্যে সেগুলিকে নিজের হাতেই ছেড়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও এ ঘটনা নিয়ে পরবর্তীতে মোদী এবং বিজেপি (BJP) সরকারের সমালোচনায় সরব হয় বিরোধী দলগুলি। আর এবার এই প্রসঙ্গেই তৃণমূল বনাম বিজেপি তরজা ঘিরে নতুন করে বিতর্কের জন্ম নিয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিনে নামিবিয়া থেকে মোট ৮ টি চিতা নিয়ে আসা হয় মধ্যপ্রদেশের কুনো পালপুর অভয়ারণ্যে। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী নিজেই সেই প্রাণীদের ছেড়ে দেন এবং একই সঙ্গে তাদের ছবিও তোলেন প্রধানমন্ত্রী।
নরেন্দ্র মোদী বলেন, “অতীতে এ সকল প্রাণীগুলির পুনর্বাসন করার জন্য কারোর তরফ থেকে কোনরকম চেষ্টা করা হয়নি। এটা আমাদের দুর্ভাগ্যজনক। তবে এই সকল চিতাগুলি এখন ভারতের অতিথি। আমাদের পরিবেশের সঙ্গে মানাতে ওদের কিছুটা সময় দিতে হবে। তবে এক্ষেত্রে যত্ন এবং দেখাশোনা করার দায়িত্ব নিতে হবে সকলকেই।”
যদিও পরবর্তীতে এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “দেশে যখন একের পর এক সমস্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে, তখন মানুষের নজর ঘোরানোর জন্যই এ সকল কাণ্ড করা হয়ে চলেছে।” আবার অপরদিকে মোদীর বিরুদ্ধে একের পরে কটাক্ষ ছুড়ে দেয় কংগ্রেস।
সেই ধারা বজায় রেখে এদিন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ জহর সরকার টুইটে নরেন্দ্র মোদীর একটি ছবি শেয়ার করেন; যেখানে মোদীকে ছবি তুলতে দেখা গিয়েছে। তবে এক্ষেত্রে তাঁর ক্যামেরার লেন্সে কভার লাগানো নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দেন তৃণমূল সাংসদ। তিনি লেখেন, “সমস্ত পরিসংখ্যানে ঢাকা দেওয়া এক জিনিস। কিন্তু ক্যামেরার লেন্সে কভার রেখে দেওয়া অত্যন্ত দূরদৃষ্টির বিষয়।”
যদিও এরপরই তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে ছবিটির আসল সত্যতা তুলে ধরে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার একটি টুইট করে লেখেন, “তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ যে ছবিটি শেয়ার করেছেন, ওটাতে নিকন ক্যামেরায় ক্যানন-এর কভার দেখা গিয়েছে। এটি শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার ছড়ানোর চেষ্টা মাত্র। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়.. আপনি এমন কাউকে নিয়োগ করুন, যার অন্তত সাধারণ জ্ঞান রয়েছে।”
উল্লেখ্য, সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্যের পর তৃণমূল সাংসদ নিজ টুইটটি ডিলিট করে দিলেও বর্তমানে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একের পর এক বিতর্ক সৃষ্টি হয়ে চলেছে।