বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিক সময়ে গরু পাচার মামলায় সরগরম বঙ্গ রাজনীতি। তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে উঠে এসেছে। সম্প্রতি, এই মামলায় সিবিআইয়ের (CBI) নজরে আসেন অনুব্রত ‘ঘনিষ্ঠ’ ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্য (Rajib Bhattacharya)। ইতিমধ্যেই তাঁকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তদন্তকারী অফিসাররা আর এবার ওই ব্যবসায়ী তথা সাঁইথিয়ার তৃণমূল ব্লক সভাপতি হুঙ্কার দিয়ে জানালেন, “সিবিআই কিংবা ইডির ভয় দেখিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে আমাকে সরানো যাবে না। তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলাম, আছি আর সেখানেই থাকবো।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এরপর থেকেই অনুব্রত এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ আত্মীয় ও ব্যবসায়ীদের নামে একাধিক সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। সেই ধারা বজায় রেখে সম্প্রতি তদন্তকারী সংস্থার নজরে আসেন অনুব্রত ‘ঘনিষ্ঠ’ ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্য।
কে এই রাজীব ভট্টাচার্য? এক সময় লটারির টিকিট বিক্রি করতেন ইনি। তবে বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে একাধিক সম্পত্তির মালিক এই ব্যবসায়ী। একইসঙ্গে, বীরভূমে একাধিক রাইস মিল রয়েছে তাঁর নামে। স্থানীয়দের দাবি, অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর সম্পত্তি বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। এমনকি, অনুব্রত মন্ডলের স্ত্রী অসুস্থ থাকার সময় তৃণমূল নেতাকে ৬৬ লক্ষ টাকা প্রদান করেছিলেন রাজীব। এই সকল ঘটনাই বর্তমানে উঠে এসেছে সিবিআইয়ের নজরে।
সিবিআই সূত্রে খবর, গরু পাচার মামলা অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে যোগসূত্র থাকতে পারে তৃণমূল ব্লক সভাপতি রাজীবের। এক্ষেত্রে অতীতে তাঁকে একাধিকবার CBI জিজ্ঞাসাবাদের মুখেও পড়তে হয়।
তবে গতকাল বীরভূমের আমোদপুরে আয়োজিত তৃণমূলের একটি মিছিলে এক প্রকার হুঙ্কার দিতে দেখা গেলো অনুব্রত ‘ঘনিষ্ঠ’ এই ব্যবসায়ীকে। তৃণমূল নেতার স্ত্রীয়ের চিকিৎসা বাবদ ৬৬ লক্ষ টাকা প্রদান করার বিষয়ে তিনি বলেন, “একজন মৃতপ্রায় মানুষকে টাকা দিয়েছি। আমার কাছে ওই সময় টাকা ছিল বলেই দিতে পেরেছি। এতে কি ভুল করেছি? সিবিআই আমাকে যতবার তলব করেছে, ততবার ওদের অফিসে পৌঁছে গিয়েছি।”
এরপর তিনি বলেন, “আমি এটাই বলতে চাই যে, অনুব্রত মণ্ডলকে যেভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা আমরা সমর্থন করি না আর সেই কারণে আমাদের আন্দোলন আরও তিনগুণ বাড়বে। সিবিআই কিংবা ইডিকে দিয়ে ভয় দেখানো যাবে না। অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামী হয়ে তৃণমূলের ছিলাম, আছি আর থাকবো।”