বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলা প্রবাদ বলে, মা হওয়া কী মুখের কথা? আর চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে, মাতৃত্বের জন্য পরিণত হয়ে উঠতে হয় নারী শরীরকে। একটা নির্দিষ্ট বয়সে না পৌঁছে সন্তান ধারণ কোন মতেই সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। কিন্তু এই পৃথিবীতে মাঝেমধ্যেই এমন ঘটনা ঘটে যাকে প্রাথমিকভাবে অবিশ্বাস্য মনে হলেও বাস্তবে কিন্তু তার প্রমাণ মেলে! যেমন বিশ্বের কনিষ্ঠতম মা লীনা মেদিনার গল্প হলেও সত্যি! যে বয়সে মায়ের কাছ ছাড়ে না মেয়ে, সেই বয়সে মা হয়েছিলেন তিনি।
জানা গিয়েছে, মাত্র পাঁচ বছর বয়সে পেরুর বাসিন্দা লিনার কোল আলো করে এসেছিল পুত্র সন্তান। আসলে, লীনার বয়স বাড়ার ঘটনাটি আর পাঁচটা মানুষের মতো স্বাভাবিক ছিল না। জন্মের পর থেকেই তার বয়স বাড়ছিল খুব তাড়াতাড়ি। বিশেষ করে একটা সময় লীনার স্তনের বৃদ্ধি চোখে পড়ছিল সকলের, যা সেই বয়সে দেখা যায় না।
সূত্রের খবর, পাঁচ বছর বয়সে লীনার পেট ফুলতে শুরু করে। আসল ব্যাপারটা বুঝতে বাবা-মা লীনাকে নিয়ে যান চিকিৎসকের কাছে। চিকিৎসক প্রথমে পেট দেখে টিউমার অনুমান করে চিকিৎসা শুরু করলেও কাজে আসেনি ওষুধ। এরপরই হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতেই চক্ষু চড়কগাছ হয় চিকিৎসকের। জানা যায় ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা পাঁচ বছর ৭ মাস ২১ দিনের লীনা। অর্থাৎ লীনা যখন গর্ভবতী হয় তখনও তার পাঁচ বছরও বয়স হয়নি।
এরপর, ১৯৩৯ সালের ১৪ মে ৫ বছরের ছোট্ট লীনা জন্ম দেয় পুত্র সন্তানের। ছেলের নাম রাখা হয় গেরার্ডো। যদিও ৪০ বছর বয়সে লীনার এই সন্তানের মৃত্যু হয়। হাজার গবেষণার পরেও এই রহস্যের সমাধান হয়নি। এবং আরও একটি বিষয়ে প্রশ্ন ওঠে, প্রজননশীল হলেও কী করে গর্ভবতী হল লীনা? সাধারণ চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে, মেয়েরা বয়সন্ধিতে না পৌঁছালে তাদের শরীরে সন্তান ধারণের প্রয়োজনীয় হরমোনই তৈরি হয় না। তাই এই ঘটনাটা ডাক্তারদের কাছে শুধু বিস্ময়কর নয়, অসম্ভব ছিল। চিকিৎসা বিজ্ঞান বিশেষজ্ঞরা আজ অবধি লীনার মাতৃত্বের ধাঁধার উত্তর খুঁজে পাননি।