বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিহারের নয়টি জেলার পর এবার দেশের (India) আরও ১০ রাজ্যে জঙ্গি ডেরায় হানা দিল জাতীয় তদন্তকারী দল এনআইএ (NIA)। ভোর রাতে অপারেশন শুরু করে শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার (arrest) করেছে তারা। এই তালিকায় চরমপন্থী ইসলামিক সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (PFI) সদস্য এবং প্রথমসারির নেতারাও আছেন বলে জানা যাচ্ছে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, তামিলনাড়ুতে পপুলার ফ্রন্টের বেশ কয়েকটি দফতরে হানা দিয়েছে এনআইএ। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা অভিযান চালান কোয়াম্বাটোর, কুডালোর, রামনাদ, ডিন্ডিগোল, থেনি ও থেনকাসিতে। চেন্নাইয়ে পিএফআই-য়ের প্রধান দফরেও তল্লাশি চালায় এনআইএ এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। কেরলেও পপুলার ফ্রন্টের রাজ্য ও জেলা স্তরেরে নেতাদের বাড়ি ও দফতরে তল্লাশি অভিযান চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। ধরপাকড় চলছে অসম, বিহার, মহারাষ্ট্র এবং পশ্চিমবঙ্গেও।
এনআইএ-এর অভিযানের বিরুদ্ধে পথে নেমে প্রতিবাদ দেখাচ্ছে পপুলার ফ্রন্ট। এক বিবৃতিতে সংগঠনটির অভিযোগ, তাদের অযথা হেনস্তা করা হচ্ছে। প্রতিবাদী স্বর থামিয়ে দিতেই কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করছে বিজেপি সরকার। কোনও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে তাদের কোনও রকম যোগ নেই। তবে, পিএফআইয়ের এই দাবি ঠিক ততটা জোরাল নয় বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহলের। কারণ, এর আগে দেশের একাধিক প্রান্তে সাম্প্রদায়িক হিংসায় অভিযুক্ত এই সংগঠনটি। জেহাদিদের আর্থিক মদত দেওয়া এবং ধর্মান্তকরণের বহু অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
২০২০ সালে বেঙ্গালুরুর সাম্প্রদায়িক হিংসার পিছনেও পিএফআই-এর হাত রয়েছে বলেই অভিযোগ। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদ ঘটনায় উত্তরপ্রদেশে ঘটা হিংসায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, ২০২১ সালে অসমে একটি উচ্ছেদ অভিযানে পুলিসের বিরুদ্ধে হামলা করায় পিএফআই। এমনই দাবি প্রশাসনিক মহলে।
এর আগে, বিহারে ১৩টি জায়গায় অভিযান চালিয়েছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর মধ্যে ছিল পাটনার ফুলওয়ারি শরিফ, বৈশালী, মধুবনি, ছাপরা, আরারিয়া, ঔরঙ্গাবাদ, কিষাণগঞ্জ, নালন্দা এবং জেহানাবাদ। কট্টরপন্থী ইসলামিক সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া এবং সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়ার একাধিক ডেরা এবং নেতার বাড়িতে এই অভিযান চলে। এসডিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাদক এহসান পারভেজের আরারিয়ার বাড়িতেও হানা দেয় এনআইএ।