বাংলাহান্ট ডেস্ক : ডিএ (DA) মামলায় কলকাতা হাই কোর্টে (Kolkata High Court) বড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার (West Bengal Government)। গত মাসে মহার্ঘ ভাতা মামলার রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানায় রাজ্য। এদিন তাদের সেই আরজিই খারিজ করে দিল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তর ডিভিশন বেঞ্চ। আগের ২০ মে-র নির্দেশই বহাল রাখল আদালত। সেই নির্দেশে বলা হয়, ৩ মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বাকি থাকা মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দিতে হবে। বৃহস্পতিবার সেই নির্দেশই বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ।
বকেয়া ডিএ-র দাবিতে রাজ্যের সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলির আদালতে মামলা দায়ের করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। গিয়েছিল। ডিএ কর্মীদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার, এই কথা মেনে নিয়ে চলতি বছরের ২০ মে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ৩ মাসের মধ্যে বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ৩১ শতাংশ হারে ডিএ দিতে হত রাজ্য সরকারকে। কিন্ত সেই সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরও ডিএ না দেওয়ায় হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়।
পাল্টা রায় পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। গত ১২ অগাস্ট রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জমা পড়ে। এমনকি সরকারি কর্মীদের ডিএ বাকি নেই বলে আদালতে দাবি করে রাজ্য। ‘রোপা রুল’ মেনে ডিএ মিটিয়েও দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন রাজ্যের আইনজীবী।
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় শুনানিতে জানান, মহার্ঘভাতা বা ডিএ (DA) রাজ্যের সামর্থ্য মতো ইতিমধ্যেই দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়া সম্ভব নয় রাজ্যের পক্ষে। আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘আদালত সচেতন ভাবেই কর্মচারীদের অধিকারের দিকে তাকিয়ে রায় দিয়েছিল। রাজ্য সরকার ডিএ না দিয়ে অযথা সময় নষ্ট করছে। ডিভিশন বেঞ্চ ৩ মাসের মধ্যে ডিএ দিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়।’ সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর রায়দান স্থগিত রাখে আদালত। আজ আদালতে রাজ্যের আর্জি খারিজের পক্ষে রায় দিয়েছে।