বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: নিজেদের রেকর্ড নিজেরাই ভাঙলেন এবং ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৭ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে অসাধারণ প্রত্যাবর্তন করলো বাবর আজমের পাকিস্তান। সিরিজের প্রথম ম্যাচে মঈন আলির ইংল্যান্ডের কাছে ছয় উইকেটে হারের মুখ দেখে ছিল পাকিস্তান দল। এশিয়া কাপ ফাইনাল হারের পর ঘরের মাটিতে একটি বিদেশি দলের কাছে হার। প্রবল সমালোচনা হয়েছিল বাবর আজম সহ গোটা পাকিস্তান দলের। বৃহস্পতিবার রাতে সেই বাবর আজমই শতরান করে দলকে ১০ উইকেটে জয় এনে দেওয়ার ব্যাপারে মুখ্য ভূমিকা পালন করলেন। প্রথমে ব্যাট করে মঈন আলী অর্ধশতরানে (৫৫) ভর করে ২০ ওভারে ১৯৯ রান তুলেছিল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৩ ওভারে কোনও উইকেট না খুঁইয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।
এশিয়া কাপে ছন্দ হারানো কোহলি ছন্দে ফিরেছিলেন এবং আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত শতরান করেছিলেন। উল্টোদিকে দুরন্ত ছন্দে থাকা বাবর আজম এশিয়া কাপে নিজের ছন্দ হাতড়ে বেড়াচ্ছিলেন। প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও পাপড় কি নিষেধ পরিচিত ছন্দে দেখা যায়নি কিন্তু গতকাল রাতে সমস্ত সমালোচকদের যোগ্য জবাব দিয়ে ৬২ বলে দুরন্ত শতরান করেন বাবর। টি-টোয়েন্টিতে এটি তার দ্বিতীয় শতরান। শেষপর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৬৬ বলে ১১০ রানে। মেরেছিলেন ১১টি চার ও ৫টি ছক্কা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটি তার দ্বিতীয় শতরান। তার সঙ্গী এবং ওপেনিং পার্টনার মহম্মদ রিজওয়ান নিজের অসাধারণ ফর্ম অব্যাহত রাখেন এবং ৫১ বলে ৮৮ রানের অপরাজিত একটি ইনিংস খেলে যান।
এদিন নিজেদের রেকর্ড নিজেরাই ভেঙেছেন বাবর আজম এবং মহম্মদ রিজওয়ান। এর আগে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে রান তাড়া করার ক্ষেত্রে তাদের দুজনেরই সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ ছিল (১৯৭)। নিজেদের সেই রেকর্ডই আজ ভেঙে দিলেন বাবররা। আজ বাবর ও রিজওয়ান প্রথম টি-টোয়েন্টিতে রান তাড়া করতে নেমে দুশো রানের বেশি (২০৩) পার্টনারশিপ গড়ার রেকর্ড করলেন। এর আগে এই কীর্তি কোনও জুটি গড়ে দেখাতে পারেননি।
এবার ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে প্রশ্ন পাকিস্তান যেমন নিজের ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচে হেরে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন করে গতকাল সিরিজে সমতা ফিরিয়েছেন, ঠিক তেমনটাই কি আজ নাগপুরের মাঠে রোহিত, বিরাটরা অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে করে দেখাতে পারবেন? যদি ভারতীয় দল তেমনটা না করতে পারেন তবে তাদের সিরিজ খোয়াতে হতে পারে।
পরিসংখ্যান বলছে আজ নাগপুরের জামাথা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতের ম্যাচ দেখতে উপস্থিত হতে পারে প্রায় ৪৫,০০০ দর্শক। খুব সম্ভবত তারা আজ যশপ্রীত বুমরার প্রত্যাবর্তনের পর প্রথম পারফরম্যান্স দেখার সুযোগ পেতে পারেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার নাগপুরে বেশিরভাগ সময় সূর্যের দেখা পাওয়া যায়নি। খুব ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে এমনটা নয় কিন্তু শুক্রবার সেই সম্ভাবনা থাকছে। যদিও স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ আশাবাদী থাকছেন যে বৃষ্টি যদি খানিকক্ষণ হয় তাহলেও স্টেডিয়ামের ড্রেনেজ সিস্টেমের যা পরিস্থিতি তাতে জল বার করে ম্যাচ শুরু করতে দেরি হবে না। এখন শুধু এটাই আশা করার যে ম্যাচের সময় তিন-চার ঘণ্টা যেন তীব্র বৃষ্টিপাত না হয়।