বাংলাহান্ট ডেস্ক : আবারও হানা পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (PFI) সদস্যদের বাড়িতে। আজ সকাল থেকেই এনআইএ (NIA) এবং পুলিসের সম্মিলিত বাহিনী জোরকদমে তল্লাশি চালাচ্ছে একাধিক জায়গায়। জানা যাচ্ছে আজ মোট আটটি রাজ্যে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। আগের দিনের মত আজও বেশ কয়েকজন পিএফআই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দিল্লি (Delhi), অসম (Assam), কর্ণাটক (Karnataka), মহারাষ্ট্র (Maharashtra) সহ আরও বেশ কয়েকটি রাজ্যে এই তল্লাশি অভিযান চালানো হয় বলে জানা যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চালানো হয় এই অভিযান।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ন্যাশানাল ইনভেসটিগেশন এজেন্সি, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ও ১৩টি রাজ্যের পুলিস একযোগে অভিযান চালায় মোট ১৫ রাজ্যে। জানা গিয়েছে, সেই অভিযানে ধৃত ১০৬ জন পিএফআই নেতা থেকে যে তথ্য মিলেছে, তার ভিত্তিতেই আজ আবার অভিযানে নামেন তদন্তকারীরা। এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর কেরল, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, তেলাঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, অসম, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ, গোয়া, মহারাষ্ট্র, বাংলা, বিহার, মণিপুরে সহ একাধিক রাজ্যে তল্লাশি চালায় এনআইএ।
এনআইএ জানায়, পিএফআই ও তার নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রচুর ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়। তার ভিত্তিতেই আজকের এই অভিযান। অধ্যাপকের হাত কেটে নেওয়া, একাধিক খুন, বিস্ফোরণ, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার মতো একাধিক ঘটনায় নাম জড়ায় পিএফআই সদস্যদের। এই সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতেই চালানো হয়েছিল এই অভিযান। অভিযানে উদ্ধার হয় প্রচুর গুরুত্বপূর্ণ নথি, নগদ টাকা, ধারালো অস্ত্র, ডিজিটাল ডিভাইস। গোটা অভিযান প্রক্রিয়ার উপর নজর রাখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং আরও অন্যান্য কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা।
গত বৃহস্পতিবারের অভিযানের পরই শুক্রবার বিক্ষোভ দেখাতে রাস্তায় নামে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার সদস্য এবং সমর্থকরা। গত শুক্রবার কেরলে প্রায় ৭০টি সরকারি বাসে ভাঙচুর চালানো হয়। ভাঙা হয় বহু দোকান। হিংসাত্মক কাণ্ডে জড়িত ৫০০ পিএফআই কর্মীকে গ্রেফতারও করা হয় বলে জানা যায়। আজকের এই অভিযানের পর এখনও পর্যন্ত পিএফআই-এর তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে।