বাংলাহান্ট ডেস্ক: পুরনো সবই চলে যাবে। তার জায়গা নেবে নতুন। কিন্তু অনেকেই আছেন যারা পুরনো জিনিস আঁকড়ে থাকতে ভালবাসেন। সবসময় যে নতুন মানেই ভাল হবে তার কি কোনো মানে আছে? কিন্তু তাতে রিমিক্স সংষ্কৃতি (Remix Culture) আটকে নেই। বিশেষ করে বলিউডে পুরনো সিনেমা, গানকে বদলে নতুন রূপ দেওয়ার ধুম উঠেছে। আর এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নিচ্ছেন নেহা কক্কর (Neha Kakkar)।
বহু পুরনো গানকে কাটাছেঁড়া করে নতুন রূপ দানের চেষ্টা করে যান তিনি। কিন্তু বেশিরভাগ সময়েই ট্রোলের শিকার হতে হয় তাঁকে। সম্প্রতি ফাল্গুনী পাঠকের আইকনিক গান ‘ম্যায়নে পায়েল হ্যায় ছনকাই’ এর রিমিক্স ভার্সন বের করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন নেহা। অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন আসল গানের গায়িকা ফাল্গুনী পাঠক। এবার মুখ খুললেন অস্কারজয়ী সুরকার এ আর রহমান।
রিমিক্স সংষ্কৃতিকে সমর্থন করেন না রহমানও। অন্যের কাজ যাতে ভুল করেও নকল না করে ফেলেন সেদিকে সদা সতর্ক দৃষ্টি রেখে চলেন তিনি। সেখানে অন্যের কষ্টের কাজকে কাটাছেঁড়া করে নতুন রূপ দেওয়াকে সমর্থন করার কথা ভাবতেও পারেন না এ আর রহমান।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “যত দেখি তত মনে হয় এটা বিকৃত। সুরকারের উদ্দেশ্যটা বিকৃত হয়ে যায়। সবাই বলে, ‘আমি নতুন করে ভাবছি’। তুমি কে নতুন করে ভাবার? অন্য কারোর কাজ নেওয়ার ব্যাপারে আমিও খুব সতর্ক থাকি। অন্যের কাজকে সম্মান জানানো উচিত।”
অনেক সময়ে পরিচালক প্রযোজকরা নিজের দেওয়া সুরকেই নতুন রূপ দেওয়ার জন্য জোর করতে থাকেন সুরকার। এ প্রসঙ্গে রহমান বলেন, সম্প্রতি তেলুগু মিউজিক লঞ্চ অনুষ্ঠানে প্রযোজক বলেন, তিনি ও মণি রত্নম যে গান বানান তা খুব তরতাজা লাগে, কারণ হবটা ডিজিটালি তৈরি হয়েছে। সকলেই প্রশংসা করছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক কোনো গানকে তো রিমিক্স করা যায় না। কারণ সেটা অদ্ভূত দেখায়।
এর আগে ফাল্গুনী পাঠক মুখ খুলেছিলেন নেহার বিরুদ্ধে। এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “চারিদিক থেকে এই গানটার জন্য এত ভালবাসা পেয়ে আমি আপ্লুত। চাই সবার প্রতিক্রিয়াগুলো শেয়ার করেছিলাম।”
সাক্ষাৎকারে তাঁর কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, তিনি কি নেহার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে চান? ফাল্গুনী উত্তর দেন, তিনি সত্যিই চান। কিন্তু উপায় নেই, কারণ তাঁর কাছে গানের আইনি স্বত্ব নেই।