বাংলাহান্ট ডেস্ক: পরপর দুটো সিরিয়াল ‘ত্রিনয়নী’ এবং ‘দেশের মাটি’। ভিন্ন চ্যানেলে ভিন্ন দুটি চরিত্রেই হিট অভিনেত্রী শ্রুতি দাস (Shruti Das)। কিন্তু তবুও তিন নম্বর সিরিয়াল আর আসছে না তাঁর। শ্রুতির সঙ্গে যারা অভিনয় করেছিলেন সিরিয়াল দুটিতে সকলেই প্রায় নতুন প্রোজেক্টে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু তাঁকে আর দেখা যায়নি নতুন সিরিয়ালে।
ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখা ইস্তক প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়ে চলেছেন শ্রুতি। গায়ের রঙের জন্য এই যুগে দাঁড়িয়েও হেনস্থা হতে হয় তাঁকে। এমনকি হাত ঘষে পর্যন্ত দেখা হয়েছে রঙটা আসল নাকি নকল! সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনি আশ্চর্যজনক ঘটনার কথা জানান শ্রুতি।
ত্রিনয়নী সিরিয়ালে অভিনয় করার সময়ে এক ষাটোর্দ্ধ ভদ্র মহিলা নাকি শ্রুতির হাত ঘষে দেখেছিলেন রঙটা আসল না নকল। তিনি বিশ্বাস করতে পারেননি শ্রুতি বাস্তবিকই শ্যামবর্ণা। কারণ অন্য একটি সিরিয়ালে এক ফর্সা মেয়েকে মেকআপ করে কালো দেখানো হত। তাই তিনি শ্রুতিকেও পরীক্ষা করতে গিয়েছিলেন।
শ্রুতি অবশ্য ওই মহিলাকে দোষ দেননি। তাঁর মতে, দোষটা ইন্ডাস্ট্রিরই, যেখানে শ্যামবর্ণা মেয়ের চরিত্র দেওয়া হয় ফর্সা মেয়েকে। এমনকি টলিউডের এক নামী অভিনেত্রীর মা পর্যন্ত তাঁর গায়ের রঙ নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন। কিন্তু ওই অভিনেত্রীকে কোনো কথাই শোনাননি শ্রুতি।
যাকে গায়ের রঙের জন্য নিন্দা শুনতে হয়, কাজ না পাওয়ার জন্যও যে তাঁকে ঠাট্টার পাত্র হতে হবে তাতে আর আশ্চর্য কী? দেশের মাটি শেষ হওয়ার পর দশ মাস কেটে গিয়েছে, নতুন কাজ পাননি শ্রুতি। অডিশন দিয়েছেন। তাঁর অভিনয় প্রশংসিতও হয়েছে। কিন্তু অদ্ভূত ভাবে বাদ পড়ে গিয়েছেন তিনি।
কিন্তু শ্রুতি হারিয়ে যাননি। যে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি নিত্য ট্রোল হন সেই সোশ্যাল মিডিয়াই তাঁকে বাঁচিয়ে রেখেছে। ফটোশুট, নন ফিকশন শো, ইভেন্টে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন শ্রুতি। এছাড়া তাঁর ইউটিউব চ্যানেল তো রয়েছেই।
শ্রুতি জানান, তাঁর কাছে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব আসে, তিনি নিজে অডিশনও দেন। নেতিবাচক চরিত্রেও অডিশন দিয়েছেন। প্রথমে সবাই খুব প্রশংসা করলেও শেষে বাদ পড়ে যান শ্রুতি। সব জায়গায় তাঁকে একটাই কথা শুনতে হয়, তাঁর মতো চরিত্র পেলে নিশ্চয়ই সুযোগ পাবেন।
এখন শ্রুতির প্রশ্ন, এই চরিত্রটা ঠিক কেমন সেটাই তিনি বুঝতে পারেন না। উপরন্তু তিনি মুখোশ পরেও ঘুরতে পারেন না। তাঁর অ্যাটিটিউড নিয়ে কারোর সমস্যা হলে সেটা তাদের ব্যাপার। তিনি যেমন তেমনই।