বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিগ বসের (Bigg Boss) অপর নাম বিতর্ক, একথা এতদিনে সকলেই জেনে গিয়েছেন। প্রত্যেক সিজনেই কোনো না কোনো কারণ নিয়ে চর্চায় উঠে আসে এই রিয়েলিটি শো। কখনো প্রতিযোগীদের অভব্য ব্যবহার, কখনো ক্যামেরার সামনে শালীনতার মাত্রা ছাড়ানো, কখনো বা সঞ্চালক সলমন খানের বদমেজাজ সব বিষয় নিয়েই বিতর্কে থাকে বিগ বস।
কিন্তু বিতর্ক, নিন্দার মাত্রা যতই বেড়ে যাক না কেন, বিগ বসকে কিন্তু আটকে রাখা যায়নি। ১৫ তম সিজনের সাফল্যের পর এবার খুব শীঘ্রই ১৬ তম সিজন শুরু হতে চলেছে। আর বিগ বসের ধারা মেনে নতুন সিজন শুরু হওয়ার আগেই একপ্রস্থ বিতর্ক হয়ে গিয়েছে। সম্ভাব্য প্রতিযোগী সাজিদ খানকে (Sajid Khan) বাদ দেওয়ার দাবি তুলে বলিউডকে বিদায় জানিয়েছেন মন্দনা করিমি (Mandana Karimi)।
পরিচালক অভিনেতা সাজিদ খান বলিউডের একজন নামী ব্যক্তিত্ব। এক সময় প্রথম সারির পরিচালকদের সঙ্গেই তাঁর নাম উচ্চারিত হত। কিন্তু ‘মিটু’ মামলায় ফাঁসার পর থেকেই কেরিয়ারে গ্রহণ লেগেছে তাঁর। একজন, দুজন নয় একাধিক মহিলা তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম অভিনেত্রী মন্দনা করিমি।
সাজিদের মুখোশ খুলে তাঁর বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। কিন্তু ‘মিটু’ মামলা চলা সত্ত্বেও কোনো শাস্তিই হয়নি সাজিদের। উপরন্তু এখন বিগ বসের ঘরে পা রাখতে চলেছেন তিনি। এর প্রতিবাদে সরব হয়েছেন সোনা মহাপাত্র, উরফি জাভেদের মতো ব্যক্তিত্বরা। এবার বিষ্ফোরক সিদ্ধান্ত নিলেন মন্লনা।
‘হামশকলস’ ছবির কাস্টিং ঠিক করার সময়ে সাজিদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন মন্দনা। তখনি নাকি পরিচালক বলেছিলেন, সমস্ত পোশাক খুলে দাঁড়াতে। দেখে সজিদের পছন্দ হলে মন্দনাকে ছবিতে নেওয়ার কথা ছিল। এছাড়াও একাধিক অভিনেত্রী সাজিদের বিরুদ্ধেই মুখ খুলেছিলেন।
কিন্তু তাঁদের প্রতিবাদ যে কোনো কাজেই আসেনি তার প্রমাণ গেল এখন। বিগ বস ১৬ র সম্ভাব্য প্রতিযোগী হিসাবে সাজিদের নাম উঠে আসায় মন্দনাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। উত্তরে তিনি বলেন, তিনি অবাক হননি। মানুষ এখন বালির মধ্যে মাথা গুঁজে থাকেন। টাকা পেলে সব করতেই রাজি তারা।
মন্দনা আরো বলেন, বিগত সাত মাস ধরে তিনি কোনো কাজ করেননি। বলিউডে তিনি থাকতে চানও না। যে ইন্ডাস্ট্রিতে মহিলাদের কোনো সম্মান নেই সেখানে তিনি থাকতে চান না, স্পষ্ট জানিয়েছেন মন্দনা।