বাংলাহান্ট ডেস্ক : উত্তর দিনাজপুরে পণের দাবিতে এক গৃহবধূকে তাঁর শশুরবাড়ির লোক পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করলে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তিনি তাঁর স্বামীকে জড়িয়ে ধরেন। পণের দাবিতে গৃহবধূদের ওপর নির্যাতনের খবর আমরা প্রায়ই শুনে থাকি। এমনকী শুধু অত্যাচার নয় মারধর বা খুনের ঘটনাও নতুন নয়।
এবারও সেই পণের টাকার দাবিতে এক গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে তাঁর স্বামী সহ শশুরবাড়ির লোকজন। তবে এ ক্ষেত্রে তিনি নতুন এই যে সেই অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় তিনি জড়িয়ে ধরেন তাঁর স্বামীকে এবং এর ফলে তাঁর স্বামীর গায়েও আগুন লেগে যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে বাঁচানো যায়নি।
মৃতার নাম সাধনা বর্মন বয়স ২৮ বছর। তাঁর স্বামীর সঙ্গে বহুদিন ধরে তাঁর বৌদির সম্পর্ক থাকায় এমনিই তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক ঠিক ছিল না, প্রায়শয়ই অশান্তি লেগে থাকতো বলে সাধনার বাড়ির লোকের দাবি। তাঁর বাড়ির লোকের বক্তব্য অনুযায়ী, মাত্র ২ বছর আগে রায়গঞ্জের মণিপাড়া অঞ্চলে বসবাসকারী শঙ্কর মন্ডলের সাথে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। সাধনার বাপের বাড়ি রায়গঞ্জের কর্ণজোড়া পিরোজপুর অঞ্চলে।
কিন্তু বিয়ের পর থেকেই তাঁরা সাধনাকে পণের টাকার দাবিতে অত্যাচার করতো। এছাড়া শঙ্করের সাথে তাঁর বৌদির অবৈধ সম্পর্ক থাকায় আরও অশান্তির সৃষ্টি হয়। ধীরে ধীরে এই শারীরিক অত্যাচার চরমে পৌঁছয়। শেষ পর্যন্ত গত শুক্রবার তাঁর শশুরবাড়ির লোকরা তাঁর গায়ে কেরোসিন ঢেলে দেয় এবং মেরে ফেলার চেষ্টা করে।