বাংলাহান্ট ডেস্ক : স্পাইডারম্যান (Spider Man) তাহলে চুরিও করে মাঝেমধ্যে? পুলিস মহলে তার পরিচয় ‘স্পাইডারম্যান’ নামেই। দেওয়াল যেমনই হোক, তাতে রেন ওয়াটার পাইপ আর অল্প কার্নিশ থাকলেই কেল্লা ফতে। ‘দেওয়াল বেয়ে’ তরতর করে চারতলা বা পাঁচতলায় উঠে যায় সে। নেহাৎ হলিউডের ‘স্পাইডারম্যান’-এর মতো জাল ছুঁড়তে পারে না। অবশ্য তার প্রয়োজনও নেই। রেনপাইপ বা কার্নিশ, জানলা বেয়ে সহজেই নেমে পড়ে সে।
এই ভাবেঔ অতি দক্ষতায় ঘরের ভিতর ঢুকে চুরি করে মোবাইল, ল্যাপটপ, টাকা। কলকাতার (Kolkata) বিভিন্ন জায়গায় চুরি করে বেড়াচ্ছিল ‘স্পাইডারম্যান’ রবিউল গাজি। কিন্তু বিধি বাম! শেক্সপিয়ার সরণির একটি বাড়িতে চুরি করতে গিয়েই ধরা পড়ে গেল সে।
পুলিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, রবিউল গাজি নামে ওই ‘স্পাইডারম্যান’ আদতে ট্যাংরার (Tangra) বাসিন্দা। কিছুদিন আগেই শেক্সপিয়র সরণির এক বাসিন্দা অভিযোগ জানান, নিজের চারতলার ফ্ল্যাটটি যথেষ্ট সুরক্ষিত মনে করেই তিনি বারান্দার দরজা খোলা রাখেন। কিন্তু এর মধ্যেই দুষ্কৃতী ভিতরে ঢুকে সাতটি মূল্যবান মোবাইল ও সাড়ে ন’হাজার টাকা চুরি (Theft) করে। ওই মোবাইলগুলি রাখা ছিল ঘরের বিভিন্ন জায়গায়। টাকা ছিল আলমারির লকারে। বাড়ির বাসিন্দারা বুঝতেও পারেননি কখন চুরি হয়েছে এই জিনিসগুলি।
জেরার মুখে অভিযিক্ত রবিউল জানায়, চুরি করা মোবাইল বা ল্যাপটপ (Laptop) ‘রিসিভার’দের এজেন্টদের দেয় সে। একেবারে জলের দরে সেই মোবাইলগুলি বিক্রি করে সেই এজেন্টদের কাছে। পুলিসের কাছে সে দাবি, যত উঁচু বাড়ি হোক না কেন, তার কোনও সমস্যাই হয় না। পাইপ, কার্নিশ, জানলা, এমনকী সুযোগ পেলে দেওয়াল বেয়েও উঠে যায় সে। ফলে যতই উঁচুতে ফ্ল্যাট হোক, তার পক্ষে কোনও অসুবিধাই নেই। প্রাণের মায়া না করে বারান্দা দিয়ে ঘরের ভিতরে ঢুকে চুরি করে সে। তাকে জেরা করে কলকাতার আরও বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিস।